লোকসভা ভোটের আগে একদিকে কুণাল ঘোষকে নিয়ে অস্বস্তিতে তৃণমূল কংগ্রেস। তিনি তৃণমূলের গুরুত্বপূর্ণ পﷺদ ছেড়েছেন। তাঁর মুখে শোনা গিয়েছে বিদ্রোহের সুর। ঠিক সেই আবহে বীরভূম জেলাতেও লোকসভা ভোটের আগে ফের তৃণমূলের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসল। তৃণমূলের যুব সভা নেত্রী সায়নী ঘোষের সভায় ডাক পেলেন না প্রাক্তন জেলা যুব সভাপতি তথা বর্তমান রাজ্য সম্পাদক দেবব্রত সাহা। এ নিয়𝄹ে বিস্ফোরক পোস্ট করলেন দেবব্রত সাহা। তিনি লিখেছেন, ‘দলটাকে অনেকে জমিদারি ভাবছে। বিপদ আসন্ন।’ তৃণমূল নেতার এমন পোস্ট ঘিরে জোর গুঞ্জন শুরু হয়েছে পূর্ব বর্ধমানের রাজনীতিতে।
আরও পড়ুন: ‘শালীনতা বজায় রাখা উচিৎ’, নেত্রী সায়নীর অনীহা খোলামেলা পোশাক🅠ে, নুসরতকে খোঁচা?
আজ শনিবার সিউড়ি শহর এবং সিউড়ি ২ নম্বর ব্লকে সায়নী ঘোষের সবার আগে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে বিতর্কিত পোস্টটি করেছেন তৃণমূল নেতা।শুধু তাই নয়, তার এই পোষ্টটিকে সমর্থন করেছেন তৃণমূলের খয়রাশোল ও পাড়শুন্ডি এলাকার অঞ্চল সভাপতিরাও। শুক্রবার রাতে দেবব্রত সাহা নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লিখেছিলেন, তিনি দেখতে খারাপ সেই কারণে তাকে ডাকা হয়নি৷ জমিদারি হটানোর কথা বলছেꦅ দল অথচ অনেকেই এই দলকে জমিদারি ভাবছে। তাঁর মতে, দলের একটি নির্দিষ্ট কাঠামো এবং নিয়ম রয়েছে সেটা সকলের মানা উচিত। এরপরেই তিনি লেখেন, কেউ কেউ নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য দলকে বিপদের মুখে ফেলে দিচ্ছে। এরফলে বিপদ আসন্ন।
প্রসঙ্গত, সিউড়ি কলেজের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক হলেন দেবব্রত সাহা। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে তাকে দুবরাজপুর থেকে প্রার্থী করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। অনুব্রতর মণ্ডলের অনুরোধে তাকে প্রার্থী করা হয়েছিল। এর আগে তিনি ছাত্র জীবনে কলেজের এসএফআইয়ের ইউনিট সদস্য ছিলেন। তবে বিধানসভায় তিনি হেরে যান। দেবব্রত সাহাকে জেলা যুব সভাপতি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তবে বীরভূমের তৃণমূল নেতৃত্ব কোনও সময় তাকে সেরকমভাবে গুরুত্ব দেয়নি। এরপর অনুব্রত মণ্ডলের জেল যাত্রা হওয়ার পর থেকে তার গুরুত্ব আরও কমে যায়। তাকে যুব সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে তার জায়গায় আনা হয় রামপুরহাটের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে।জানা গিয়েছে, আজ শনিবার সায়নীর সভায় ডা👍ক পাননি তৃণমূল নেতা। তা নিয়ে তিনি বেজায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তারপরেই তৃণমূল নেতার এমন পোস্ট।