সকাল থেকেই লোডশেডিং হয়ে যাচ্ছে ঘরে ঘরে। এই অভিযোগ তুলে পথ অবরোধ করেছিলেন এলাকার বাসিন্দারা। ওই বিক্ষোভ এবং অবরোধকারীদের উপর গুলি চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে। আজ, বৃহস্পতিবার দুপুরে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় হয়ে গিয়েছে রাজ্য–রাজনীতি। আর এই আবহেই বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস দাবি করলেন,🍷 ‘লোডশেডিংয়ের সঙ্গে এই ঘটনার কোনও সম্পর্ক নেই।’ এই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হন দু’জন। তাঁদেরকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আজ সন্ধ্যায় রাজ্য বিদ্যুৎ দফতর বিজ্ঞপ্তি দিয়ে গোটা ঘটনার দায় চাপিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের উপর।
এই ঘটনা নিয়ে মালদা জেলার মানিকচক থানার অন্তর্গত এনায়েতপুর এলাকা রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, মানিকচকের কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েতে বিদ্যুৎ পরিষেবা খুব খারাপ হয়ে পড়েছে। প্রায় ২০টি গ্রামে প্রত্যেকদিন𓆉 সন্ধ্যার পর থেকে বিদ্যুৎ চলে যায়। আর পরের দিন দুপুরে আসে। সন্ধ্যা নামলেই কার্যত অন্ধকারে ডুবে যায় গোটা গ্রাম। এই নিয়ে বিক্ষোভের মাঝেই পুলিশ গুলি চালায়। যদিও রাজ্য বিদ্যুৎ দফতর বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে,বাসিন্দাদের অসহযোগিতার জেরেই বিদ্যুতের তিনটি টাওয়ার বসানো যাচ্ছে না। এই টাওয়ার বসালে পরিষেবা আরও উন্নত হবে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
আরও পড়ুন: ‘এখানকার মানুষের কাজ ꦐআটকে যেতে দেব না’, বহরমপুরে পা রেখেই অঙ্গীকার স্মরণ প🔜াঠানের
পুলিশের এই গুলি চালানোর ঘটনায় নবান্ন থেকে রি𒉰পোর্ট তলব করা হয়েছে। তারপরই বিবৃতি প্রকাশ করেন অরূপ বিশ্বাস। তিনি জানান, মালদার ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। তবে লোডশেডিংয়ের সঙ্গে এই ঘটনার কোনও সম্পর্ক নেই। বিদ্যুৎমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলার কোথাও কোনও লোডশেডিং হয় না। মুখ্য꧋মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার অভিধান থেকে লোডশেডিং শব্দটা চিরতরে মুছে দিয়েছেন। রাজ্যে কোথাও এক মিনিটের জন্য লোডশেডিং হয় না।’ বিবৃতিতে উল্লেখ রয়েছে, মালদার মানিকচকের এনায়েতপুরে যেখানে সমস্যা রয়েছে, সেখানে উন্নত পরিষেবা পৌঁছে দিতে আরও তিনটি টাওয়ার বসানোর কাজ বাকি আছে। মালদা পাওয়ার গ্রিড থেকে মানিকচক পর্যন্ত ১৩২ কেভি হট লাইন বসাতে ৮৯টি টাওয়ারে মধ্যে ৮৬ টাওয়ার বসানো হয়েছে। ইংলিশবাজারে বাকি তিনটি টাওয়ার বসানোর কথা আছে।