কংগ্রেস বিধায়ক বাইরন বিশ্বাস তৃণমূল কংগ্রেসে যেদিন যোগ দিয়েছিলেন সেদিন রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। কেউ বলেছেন বাইরন বিক্রি হয়েছেন। কেউ বলেছেন সাগরদিঘির বিধায়ককে কিনল তৃণমূল কংগ্রেস। আর সেই সূত্র ধরেই ভাঙড় বিধানসভার বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী দাবি করেছিলেন, তৃণমূল কংগ্রেস তাঁকেও কিনতে চেয়েছিল। এবার নওশাদকে পাল্টা কড়া জবাব দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক সওকত মোল্লা। আইএসএফ 🎃বিধায়ককে কার্যত পাগল বলে সম্বোধন করলেন তিনি।
এদিকে রবিবার ভাঙড়ের আম্রশ্বরে এক জনসভায় করা হয়। সেখানে উপস্থিত হন বিধায়ক সওকত মোল্লা, ভাঙড় ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শাজাহান মোল্লা, কাইজার আহমেদ, বাহারুল ইসলাম, আহসান মোল্লা, বাদল মোল্লা, সাত্তার মোল্লা–সহ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্ব। সেই সভায় সওকত মোল্লা বলেন, ‘এই এলাকায় আইএসএফ ও বিজেপির কিছু লোকজন আছে। আজ আমাদের এই জনসভার পর থেকে তাঁদের টিকি খুঁজে পাওয়া যাবে না। ভাঙড় বিধানসভা থেকে একটা ভণ্ড, দালাল, চিটিংবাজ নির্বাচিত হয়েছে🅷ন। মানুষ তাঁকে ঘৃণা করছে। মাসে এক দু’বার আসেন ঘুরে চলে যান। হঠাৎ তিনি বলছেন, তাঁকে কেনার জন্য মোটা টাকার অফার দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রিত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসা করুন কবে তাঁকে অফার দেওয়া হয়েছিল? আর তাঁর বক্তব্য, যখন বিধায়ক হিসেবে শপথ নেন তখন।’
আর কী বলেছেন সওকত? একুশের নির্বাচনে এই একটি আসনই পায় আইএসএফ। তবে এই দলটিকে কোনও বড় কর্মসূচি✱ মানুষের স্বার্থে নিতে দেখা যায়নি। তাই ভাঙড়ের আম্রেস্বর গ্রামের এক সভায় তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক সওকত মোল্ল💦া বলেন, ‘একুশের নির্বাচনে সাম্প্রদায়িক শক্তি বিজেপি থেকে শুরু করে সমস্ত বিরোধী রাজনৈতিক দল ধরাশায়ী হয়। তখন আমাদের দল ২১৩টি আসন পেয়ে তৃতীয়বারের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শপথ নিচ্ছেন। তখন নাকি আমাদের এত অভাব হয়ে গেল যে, চার পয়সার নকুলদানাকে আমাদের কিনতে হবে। এর থেকে বড় মিথ্যেবাদী, ধাপ্পাব🎃াজ আর কেউ হতে পারে না। তৃণমূলের এত অভাব হয়নি। তৃণমূল ছাগল কিনতে পারে কিন্তু কোনও পাগলকে কিনবে না।’