নতুন বছরের প্রথমদিনই দুর্ঘটনার কবলে পড়ল টয়ট্রেন। আজ, সোমবার দার্জিলিংয়ে আবার লাইনচ্যুত হয়ে গেল টয়ট্রেন। আজ, দার্জিলিংয়ের কাকঝোরায় টয়ট্রেনের একটি ইঞ্জিন লাইন থেকে বেরিয়ে যায় বলে খবর। এই ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে যাত্রীদের মধ্যে। লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে আপাতত পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে বলে রেল সূত্রে খবর। লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে পর্যটক ভর্তি টয়ট্রেন। দা🔥র্জিলিং থেকে ঘুম যাওয়ার পথে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে এখন উৎসবের মরশুমে মানুষ ভিড় জমিয়েছেন শৈলশহরে। সেই আনন্দ মাখতে নস্টালজিক টয়ট্রেনে সফরকেই অনেকে বেছে নিয়েছেন। কিন্তু টয়ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে পড়া🦄য় আনন্দের মেজাজে যেন এক বালতি জল পড়ে গেল। আবার গোটা পরিকল্পনাও ভেস্তে গেল পর্যটকদের। কারণ টয়ট্রেনে সফর করার মধ্যে দিয়েই প্রকৃতির নৈসর্গিক দৃশ্য দেখা থেকে বঞ্চিত থাকতে হল। দার্জিলিংয়ে এখন মোট ১২টি জয়রাইড চলে। সোমবার তারই একটি জয়রাইডে দুর্ঘটনা ঘটে। টয়ট্রেনটি ঘুম থেকে দার্জিলিংয়ে যাচ্ছিল। তখনই হঠাৎ দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে যায়। ওই টয়ট্রেনটি পর্যটকে ভর্তি ছিল। পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে।
অন্যদিকে ২০২৪ সালের প্রথমদিনে উপচে পড়া ভিড় দার্জিলিংয়ে। পর্যটনের জায়গা এখন পর্যটকে পরিপূর্ণ। তার উপর দার্জিলিংয়ে সবসময়ই চাহিদার তালিকায় শীর্ষে থাকে টয়ট্রেন সফর। এই জয় রাইডটি করতে মুখিয়ে থাকেন আট থেকে আশির পর্যটকরা। আজ বেশ কয়েকজন যাত্রী নিয়ে ঘুম স্টেশন থেকে টয়ট্🦂রেনটি রওনা দিয়েছিল। তখন আচমকাই টয়ট্রেনের ইঞ্জিন লাইনচ্যুত হয়ে যায়। যদিও পরে ইঞ্জিন ট্র্যাকে তোলা হয়েছে। আবার যাত্রা শুরু করবে টয়ট্রেন বলে জানা যাচ্ছে। বছরের প্রথম দিন টয়ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ায় মন ভাল নেই পর্যটকদের।
আরও পড়ুন: ‘মমতা না থাকলে বাংলা ছাগলের তৃতীয় সন্তান হয়ে যাবে’, নবীন–প্রবীণ দ্বন্দ্বে 𒀰আঁচ দিলেন সুদীপ
তবে এখন পরিষেবা বন্ধ রাখা হলেও দ্রুত তা স্বাভাবিক রূপ নেবে বলে জানা গিয়েছে। ঘুম থেকে দার্জিলিং যাওয়ার পথে কাকঝোরায় টয়ট্রেনের দুটি বগি লাইন থেকে বেরিয়ে যায়। এই বিষয়ে উত্তর–পূর্ব ভারতের রেলের জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে বলেন, ‘ঘুম এবং দার্জিলিং স্টেশনের মাঝখানে একটি জয়রাইডের স্টিꦑম ইঞ্জিন লাইনচ্যুত হয়ে গিয়েছে। পর্যটকরা ছিলেন টয়ট্রেনে। তবে হতাহতের কোনও খবর নেই। প🌠র্যটকদের সড়কপথে দার্জিলিং পাঠানো হয়েছে। টয়ট্রেনটি উদ্ধারের কাজ চলছে জোরকদমে।’ দার্জিলিংয়ের নস্টালজিয়া মানেই এই টয়ট্রেন। আর এই টয়ট্রেনই বারবার দুর্ঘটনার মুখে পড়ছে।