অসমে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে তিস্তা নদীতে একের পর এক ভেসে গিয়েছে বহু দেহ। এখনও পর্যন্ত যতগুলি পাওয়া গিয়েছে তার মধ্যে অধিকাংশ♓ উদ্ধার হয়েছে বাংলা থেকে। এবার তিস্তার জলে ওপার বাংলাতেও ভেসে গেল দেহ। বেশ কয়েকটি দেহ ভেসে গিয়েছে বাংলাদেশে। সেখানে উদ্ধার হওয়া ২টি দেহ ভারতের হাতে তুলে দিল বা💙ংলাদেশ। জানা গিয়েছে শুক্রবার রাতে এই দেহগুলি বিএসএফের হাতে তুলে দেয় বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিবি। কোচবিহারের গিতালদহ এবং বাংলাদেশের লালমনিহাট সীমান্তে কফিনবন্দি দেহগুলি ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: Sikkim Flash Flood: অস্ত্র ভাসিয়ে আনছে তিস্তা, নদীতে নামলেইღ বিরাট বিপদ
জানা গিয়েছে, শুক্রবার বাংলাদেশের লালমনিরহাটের তিস্তা নদীতে দেহগুলি ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা। তাদের কাছ থেকে খবর পেয়ে বাংলাদেশের স্থানীয় পুলিশ দেহগুলি উদ্ধার করে। পরে খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারে যে দেহগুলি ভারত থেকে ভেসে গিয়েছে। এরপরে বাংলাদেশের পুলিশ বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করে। পরে তারা ভারতের বিএসএফকে খবর দেয়। এ নিয়ে শুক্রবার রাত ৮ টা নাগাদ ভারত বাংলাদেশের লালমনিরহাট থানার কর্ণ🦄পুরের চওড়াটারী গ্রামে দুই দেশের বাহিনীর মধ্যে ফ্লাগ মিটিং হয়। দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী ছাড়াও সেখানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের পুলিশ। উভয় পক্ষের মধ্যে বৈঠক শেষ হওয়ার পর বিএসএফের হাতে কফিনবন্দি দেহ তুলে দেওয়া হয়। যদি ও মৃতদেহগুলির পরিচয় জানা যায়নি।
ভারতের পক্ষে এদিন বৈঠক উপস্থিত ছিলেন বিএসএফেไর ৯০ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমান্ডেন্ট কমান্ড্যান্ট পাপ্পু মিনা গীতালদহ ফাঁড়ির পুলিশ আধিকারিক রাজেন্দ্র তামাং ও বিএসএফের অন্যান্য কর্তারা। অপরদিকে বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন লালমনির হাট থানার ওসি ওমর ফারুক। এ♐ছাড়া, ১৫ নম্বর বিজিবি কোম্পানি কমান্ডার শরিফুল ইসলামও ছিলেন বৈঠকে।