হাওড়ার দুই রাজমিস্ত্রির সঙ্গে একই🍰 পরিবারের দুই গৃহবধূ সংসার ত্যাগ করেছিলেন। এই ঘটনা এখনও কেউ ভোলেননি। এবার সেই ছা🐓য়া দেখা গেল বাগদায়। সংসার ছেড়ে দুই টোটোচালকের সঙ্গে পালিয়ে গেলেন একই পরিবারের দুই গৃহবধূ। বাগদা থানার আন্দুলপোতা ও সিন্দ্রানি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় এখন এটাই চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে। এলাকাবাসী গান ধরেছেন, ‘কিয়া শরম কি বাত, ভদদর ঘরকি লেড়কি ভাগে ডিরাইভার কে সাথ।’
ঠিক কী ঘটেছে বাগদায়? স্থানীয় সূতꩲ্রে খবর, দুই টোটোচালক হল বিশ্বজিৎ মণ্ডল এবং শিবু মজুমদার। সিন্দ্রানি টোটো স্ট্যান্ডে তাদের নিত্যদিনের কাজকর্ম। এছাড়া শিবুর সিন্দ্রানি বাজারে একটি চালের দোকান আছে। দুই টোটোচালকের বাড়ি সিন্দ্রানি এলাকায়। এই টোটোয় যাতায়াতের সূত্রেই পালবাড়ির মেজ ও ছোট বউ মিঠু পাল ও পবিত্রা পালের সঙ্গে পরিচয় হয়। পরিচয় কালের গতিতে পরকীয়া প্রেমে পরিণত হয়। আর তারপর একসঙ্গে ঘর করার পরিকল্পনা হয়।
গৃহবধূদের স্বামীরা কোথায় থাকেন? গৃহবধূদের শ্বশুরমশাই সূত্রে খবর, তাঁর দুই ছেলে বাইরে কর্মরত। একজন বিদেশে, আর একজন পুণ𝓰েতে 🦩থাকেন। আর তাঁদের স্ত্রীরা এখানে থাকতেন। কিন্তু ওরা পালিয়েছে টোটোচালকদের সঙ্গেꦬ। ননদের বাড়ꦺি যাচ্ছি বলে বেরিয়ে আর ফেরেনি। সোনার গয়না এবং টাকাপয়সা নিয়ে গিয়েছে। দুই ছেলের কানে সেই খবর পৌঁছেছে। তাঁরা স্ত্রীদের ফিরিয়ে আনার জন্য বাবার কাছে অনুরোধ করেন। শ্বশুর শিবপদ পাল বলেন, ‘বাড়ির বউরা ফিরে এলে মেনে নেব।’
কিন্তু টোটোচালকরা ফিরলে কী হবে? পরিবার সূত্র🐽ে খবর, টোটোচালক বিশ্বজিৎ মণ্ডল ও শিবু মজুমদারের সংসার আছে। আর একটি করে কন্যাসন্তান রয়🦄েছে। শিবু মণ্ডলের স্ত্রী বলেন, ‘নিমন্ত্রণ খেতে যাচ্ছি বলে বেরিয়েছিল। পরে জানতে পারি, ওরা দুই বন্ধু পালবাড়ির দুই বউকে নিয়ে পালিয়েছে। ফোন বন্ধ। ফিরে এলে মেনে নেব।’