উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অভিযোগের পাহাড়। সেইসব অভিযোগের নিষ্পত্তির জন্য স্কুল সার্ভিস কমিশনকে (এসএসসি) তিন মাস বরাদ্দ করল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই সময়ের মধ্যে কোনও নিয়োগ করতে পারবে না কমিশন। এমনটাই নির্দেশ দিল বিচারপতি সৌমেন সেনের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ।বুধবার হাইকোর্ট জানিয়েছে, ১৫ সপ্তাহ পর (তিন মাস তিন সপ্তাহ মতো) ফের মামলার শুনানি হবে। তার আগে যে অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য যে তিন মাস বরাদ্দ করা হয়েছে, সেই সময় শিক্ষা দফতরের সহ-অধিকর্তাকে প্রতিটি অভিযোগ বিচার করে দেখারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তার ফলে আবারও আইনি জটে পড়ে গেল উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া। এমনিতে উচ্চ প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়া (২০১৬ সালে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছিল) নিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠেছিল। সেইসব অভিযোগের ভিত্তিতে দীর্ঘদিন ধরে আইনি জটে আটকে ছিল নিয়োগ প্রক্রিয়া। গত জুলাইয়ে উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগের উপর থেকে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ তুলে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। গত ৯ জুলাই কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, তালিকা প্রকাশের কোনও অভিযোগ থাকলে সেই বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে কমিশন। কারও অভিযোগ থাকলে দু'সপ্তাহের মধ্যে তা কমিশনের কাছে জানাতে হবে। সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখবেন সচিব পর্যায়ের আধিকারিক। অভিযোগ পাওয়ার ১০ সপ্তাহের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে। সেইমতো কমিশনের তরফে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল। পুজোর মধ্যেই নিয়োগের কথাও বলা হচ্ছিল। কিন্তু তা তো হয়নি। বরং অভিযোগের পাহাড়ে আপাতত নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।