'থ্রেট কালচারারের' অন্যতম 'মাথা' নাকি চিলেন তিনি। এহেন চিকিৎসক অভীক দে-কে সম্প্রতি সাসপেন্ড করেছে স্বাস্থ্য দফতর। একাধিক অভিযোগ এই অভীক দে-র বিরুদ্ধে। এই সবের মাঝেই আবার সম্প্রতি অভীকের একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাতে দাবি করা হচ্ছে, প্রভাবশালী এই চিকিৎসক বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের গেস্ট হাউজে বসেই নিজের বিয়ের আইবুড়ো ভাতের অনুষ্ঠান পালন করেছিলেন। (আরও পড়ুন: '…পরীক্ষা নেবে꧅ন না', বোসের বার্তা মমতাকে, নির্যাতিতার পরিবারের চিঠি শাহের টেবিলে)
আরও পড়ুন: আরজি কর কাণ্ডে নয়া 𒉰মোড়, সন্দীপ ঘোষের বাড়ি ঘিরলেন জওয়ানরা, শুরু ইডির অভিযান
রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর 🤪বিয়ে হয় অভীকের। ১৬ ডিসেম্বর বর্ধমানের একটি অভিজাত হোটেলে রিসেপশন হয়েছিল অভীকের। এর আগে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে অভীক ঘনিষ্ঠ কিছু চিকিৎসক-পড়ুয়ার উদ্যোগে কলেজেরই গেস্ট হাউজে পালন করা হয়েছিল তার আইবুড়ো ভাত। এদিকে এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তা এড়িয়ে যান বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ মৌসুমি বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, 'আমি এখানে জয়েন করেছি মার্চ মাসের একেবারে শেষের দিকে। ফলে তার আগে প্রশাসনিক ভবনের গেস্ট হাউসে কী ভাবে কারও আইবুড়ো ভাত খাওয়ানো হলো তার উত্তর আমার পক্ষে বলা সম্ভব নয়।'
এদিকে শুধু আইবুড়ো ভাত নয়, মেডিক্যাল কলেজে ঘটা করে পালন হয়েছিল অভীকের জন্মদিন। সেই পার্টির আয়োজন করেছিল কলেজেরই টিএমসিপি ইউনিট। সেখানে উপস্থিত ছিলেন পূর্ব বর্ধমাꦐন জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি স্বরাজ ঘোষও। তা নিয়ে স্বরাজকে প্রশ্ন করা হলে তিনি আবার বলেন, 'আমন্ত্রিত হিসেবে ওর জন্মদিনের অনুষ্ঠান পালনের দিন আমি মেডিক্যাল কলেজে গিয়েছিলাম। কলেজে আমাদের ছাত্র পরিষদের ইউনিট থেকে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়েছিল। পার্টিকর্মী হিসেবে সেখানে থাকাটা কোনও অন্যায় হয়েছে বলে আমি মনে করি না।। ছবি তোলাও অপরাধ নয়। তবে আইবুড়ো ভাতের ক্ষেত্রে বলতে পারি, ও ভাবে ওখানে না করলেই ভালো হত।'
এর আগে গত ৯ অগস্ট তরুণী চিকিৎসক খুনের পরে আরজি কর মেডিক্যালের সেমিনার রুমে 'বহিরাগত' 🌄থাকা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। সেই বিতর্কে নাম জড়িয়েছে অধীক দে-র। দাবি করা হয়, সেমিনার রুমে 'রহস্যজনক লাল জামা' ব্যক্তি ছিলেন এই অভীক। যদিও পুলিশ প্রথমে তাকে 'ফিঙ্গারপ্রিন্ট এক্সপার্ট' বলে দাবি করেছিল। সেই মর্মে অন্য একজনের নামও প্রকাশ করেছিল পুলিশ। তবে আইএমএ-র তরফ থেকে দাবি করা হয়েছিল, সেই লাল জামা ব্য়ক্তি অভীক দে। এই আবহে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। আর বিতর্কের মাঝে সম্প্রতি অভীককে সাসপেন্ড করে স্বাস্থ্য দফতর।