বিশ্বভারতীর ক্যাম্পাসে আবর্জনা ফেলার অভিযোগ উঠল। বোলপুর পুরসভার ২ এবং ৬ নম্বর ওয়ার্ডে বিশ্বভারতী ক্যাম্পাস। সেখানে আবর্জনা ফেলার অভিযোগ উঠল বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে। এমনকী পুরসভা উদাসীন থাকায় আবর্জনা থেকে দূষণ ক্রমশ বাড়ছে বলে অভিযোগ। ২ নম্বর ওয়ার্ডের শ্যামবাটি থেকে শিক্ষাভবন যাওয়ার পথে বাড়ছে আবর্জনার স্তূপ। নোংরা–আবর্জনার কারণে চলাচল করতে সমস্যা হবে বলে অভিযোগ তুলেছেন বিশ্বভারতীর পড়ুয়ারা।ঠিক কী ঘটেছে বিশ্বভারতীতে? বিশ্বভারতী সূত্রে খবর, বিশ্বভারতী ক্যাম্পাস এলাকা–সহ শ্যামবাটি, রতনপল্লি, পূর্বপল্লি, শ্রীপল্লি, অবনপল্লি, ফুলডাঙা, সীমান্তপল্লি এলাকাগুলি রূপপুর পঞ্চায়েত থেকে ২ নম্বর ওয়ার্ডে যুক্ত হয়েছে। তাই শ্যামবাটি, রতনপল্লি, পূর্বপল্লি, শ্রীপল্লি প্রভৃতি এলাকাগুলি বিশ্বভারতী ক্যাম্পাসের মধ্যে পড়ে। অভিযোগ, এই এলাকাগুলিতে কোনও ডাস্টবিন নেই। তাই যত্রতত্র নোংরা–আবর্জনা পড়ে থাকছে। বিশ্বভারতীর লালবাঁধ লাগোয়া শ্যামবাটি থেকে শিক্ষাভবন যাওয়ার পথে আবর্জনার স্তূপ হয়ে রয়েছে বলে অভিযোগ বিশ্বভারতীর ছাত্রছাত্রীদের। ঠিক কী বলছেন কাউন্সিলর? এই বিষয়ে ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার চন্দন মণ্ডল বলেন, ‘শ্যামবাটিতে যত্রতত্র ব্যাঙের ছাতার মতো হোটেল–রেস্তোরাঁ গজিয়ে উঠেছে। এই হোটেল, রেস্তোরাঁ থেকে বিশ্বভারতীর ক্যাম্পাসে নোংরা–আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। যার দায়ভার এসে পড়ছে পুরসভার উপর। খবর মিলেছে। এবার দ্রুত পরিষ্কার করা হবে।’বিশ্বভারতীর ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ, ভুবনডাঙার বাঁধ নামে পরিচিত বিশ্বভারতীর জলাশয়ে পর্যন্ত আবর্জনা এসে পড়ছে। তার ফলে দুর্গন্ধে টেকা যাচ্ছে না। এই এলাকায় আবর্জনার সমস্যা দীর্ঘদিনের। ক্যাম্পাসে নোংরা আবর্জনা ছড়িয়ে থাকায় পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। তাই পুরসভার চেয়ারম্যানকে চিঠি লিখে সাফাই করতে বলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।