আজ, শনিবার বীরভূমে কোর কমিটির বৈঠক বসছে। এই বৈঠকের জেরেই মুখোমুখি হতে চলেছেন বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল এবং সভাধিপতি কাজল শেখ। এই আবহে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের মুখে অভিজিৎ সিনহা ওরফে রানার নাম চলে এল। শুক্রবার সরকারি অনুষ্ঠান থেকে দু’বার রানা সিনহার নাম নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিজিৎ সিনহা লাভপুরের বিধায়ক। ফুল্লরা মন্দির সংস্কারের সময়ে কেমন করে রানা তাঁর দৃষܫ্টি আকর্ষণ করেছিলেন সে কথাও বললেন মুখ্যমন্ত্রী। অনুব্রত জামিনে মুক্তি পেয়ে তিহার জেল থেকে জেলায় ফেরার পর এই প্রথম অফিসিয়ালি কোর কমিটির বৈঠকে বসতে চলেছে। তার আগে এমন আবহ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
এদিকে এতদিন সবাই জানত অনুব্রত–কাজল একে অন্যের বিরোধী। সেখানে বিধায়ক অভিজিৎ সিনহার নাম ভাসিয়ে দেওয়ায় পরিস্থিতি জটিল হয়ে পড়ল বলে মনে করা হচ্ছে। আজকের এই বৈঠকের দিকে তাকিয়ে গোটা জেলার তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। এই বৈঠকের প্রাক্কালে মুখ্যমন্ত্রী মঞ্চ থেকে বলেন, ‘আমি মিটিং করতে গিয়েছি। তখন আমাদের বিধায়ক রানা আমাকে বলল, দিদি তুমি তারাপীঠে গিয়েছো, কঙ্কালীতলা গিয়েছো, ফুল্লরা মন্দিরে যাওনি? আম🦄ি তখন হেলিকপ্টার ধরতে যাচ্ছি, তখন রানা বলল, দিদি ওই দেখো ফুল্লরা মন্দির। কী সুন্দর।’ এখন এই কথাই ভাবিয়ে তুলেছে কেষ্ট এবং কাজলকে।
আরও পড়ুন: ঘুম থেকে উঠে ঘরের বাইরে পা রাখতেই মুখোমুখি গজরাজের দল, জলপাইগুড়িতে আলোড়ন
অন্যদিকে অনুব্রত মণ্ডল তিহাড় জেল থেকে বীরভূমে পা রাখার পর কোর কমিটির একটিও বৈঠক হয়নি। এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী আগে বলেছিলেন, মাসে অন্তত তিনবার কোর কমিটির বৈঠক করতে হবে। সেখানে একটি বৈঠকও হয়নি। তবে জেলার বিভিন্ন ব্লকে দলের বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে জেলা সভাপতি কেষ্ট মণ্ডলকে বহু ব্লকে দেখা যায়। কিন্তু কাজল এবং কেষ্টকে কোনও মঞ্চেই একসঙ্গে দেখা যায়নি। তখন থেকেই দলের দুই শিবিরের মধ্যে ফাটল চওড়া হয়ে ওঠে♍। বিজয়া সম্মিলনির শেষ দিনে বিধায়ক অভিজিৎ সিনহা কোর কমিটির বৈঠক করার জন্য দাবি তোলেন। তারপরই কোর কমিটির আহ্বায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী জানান, ১৬ নভেম্বর কোর কমিটির বৈঠক হবে।
এছাড়া কোর কমিটির কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ কাজল এবং অনুব্রতর মধ্যে সমন্বয় সাধন করা। সেটা বৈঠকের মধ্য দিয়ে করা সম্ভব কিনা বোঝা যাবে তা শেষ হলে। কিন্তু মাঝে অভিজিৎ সিনহাকে ঢুকিয়ে দিয়ে দু’জনকে সাইড করে দেওয়া হবে কিনা সেটাও এখন স্পষ্ট নয়। তাহলে বিরোধ দু’জনের মধ্যে থাকলেও দলের কোনও ক্ষতি হবে না। কয়েক বছর আগে রেড রোডে ছাত্র সমাবেশ থেকে নির্বেদ রায়ের নাম নিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরই দেখা যায়, নির্বেদ রায় তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। এখন অভিজিৎ 🌳সিনহার নাম নেওয়ায় তিনি বিশেষ দায়িত্ব পেতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই সিউড়ি ১ ব্লকের বুথ সভাপতিকে হঠাৎ আলোচনা না করে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হতে পারে।