রাজ্য বাজেটের আগে আবার বড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তফসিলি জাতি, উপজাতি এবং আদিবাসী পড়ুয়াদের মধ্যেই প্রকল্পকে সীমাবদ্ধ রাখতে চান না মুখ্যমন্ত্রী। তাই এবার ‘যোগ্যশ্রী’ প্রকল্পের আওতায় সাধারণ (জেনারেল) ছাত্রছাত্রীদের কথা ঘোষণা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাওড়ার সাঁতরাগাছির প্রশাসনিক সভামঞ্🐽চ থেকে আজ, বুধবার বড় ঘোষণা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যসচিবকে আরও ৫০টি যোগ্যশ্রী সেন্টার খোলার নির্দেꦑশ দিয়েছেন তিনি। এবার থেকে ‘যোগ্যশ্রী’ প্রকল্পের সুবিধা পাবে জেনারেল কাস্টরাও।
এদিকে হাওড়ার প্রশাসনিক সভায় গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘এই যে এখন আপনাদের সামনে কথা বলছি, গায়ে ১০১ টেম্পারেচর। টানা ৪৮ ঘণ্টা ধরনা দিয়ে কাশিটাও বেড়েছে।’ গত শুক্রবার দুপুর থেকে রেড রোডে ধরনা মঞ্চে 🥃আছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাতে সেখানে তাঁবুতেও ছিলেন। রেড রোডের দিকে গাছপালা বেশি থাকায় রাতে ঠান্ডাও বেশি এখানে। তার উপর বাতাসে আর্দ্রতাও ছিল। সেখান থেকে ঠান্ডা লেগেছে মুখ্যমন্ত্রীর। তবে এই জ্বর নিয়েই মানুষের সামনে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই তো তাঁর বক্তব্য, ‘আমি একবার কথা দিয়ে দিলে প্রোগ্রাম ক্যানসেল করি না। কাল আবার বাজেট আছে।’
অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর মন্ত্রিসভা এবং দলের অনেকের তুলনায় বেশি ফিট। তাঁর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হন–হন করে হাঁটতে হিমশিম খান পুলিশ কর্তারা এবং নেতা–মন্ত্রীরা। এ෴খানেই আজ যোগ্যশ্রী প্রকল্প সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রীর কথায় উঠে আসে, ‘রাজ্যের অনেক পড়ুয়া আইএ💝এস, আইপিএস, চিকিৎসক, ডব্লুবিসিএস, ডব্লুবিপিএস, ইঞ্জিনিয়ার, শিক্ষক হতে চান। তাঁদের লক্ষ্যে পৌঁছনোর ক্ষেত্রে যাতে কোনওভাবেই আর্থিক প্রতিবন্ধকতা তৈরি না হয় তার জন্য বিনামূল্যে ট্রেনিং সেন্টারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে।
আরও পড়ুন: জরুরি বৈঠকে ডাকলেন অভিষেক, সব সাংসদ, বিধায়ক, ব্লক সভাপতিদের উপস্থিতির ন💃ির𒀰্দেশ
এছাড়া এখন সর্বভারতীয় স্তরের পরীক্ষাগুলিতে যাতে পড়ুয়ারা অংশ নিতে পারেন সেই জন্য প্রস্তুতি হিসেবে একাধিক কোচিং সেন্টার রয়েছে। তবে সেগুলির ফি এত বেশি যে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া পড়ুয়ারা সেখানে যেতে পারেন না। সুযোগ পান না পড়ার। তাঁদের কথা চিন্তা করেই প্রাথমিকভাবে তফসিলি জাতি, উপজাতিদের জন্য এই সুবিধার কথা ভাবা হয়েছিল। এবার সাধারণ জাতের পড়ুয়ারাও সেই সুবিধা🔯 পেতে চলেছে। এই ট্রেনিং সেন্টারগুলিতে প্রশিক্ষণের আগে প্রবেশিকা পরীক্ষা দিতে হবে। সেই প্রবেশিকা পরীক্ষাতে পাশ করলেই মিলবে অ্যাডমিশন। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘একটা পদক্ষেপ নিয়ে ছিলাম তফসিলি জাতি এবং উপজাতির পড়ুয়াদের জন্য। বিভিন্ন সরকারি পরীক্ষায় বিনামূল্যে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হল। ‘যোগ্যশ্রী’ প্রকল্পে এবার জেনারেল ব♏া সাধারণ পড়ুয়াদের অন্তর্ভুক্তি করা হচ্ছে।’