এবার একটি কেন্দ্রীয় পোর্টালের মাধ্যমে রাজ্যের সব কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভরতি প্রক্রিয়া চলবে। অর্থাৎ প্রতিটি কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে আলাদা করে অনলাইন বা অফলাইনে ভরতি প্রক্রিয়া হবে না। প্রতিটি কলেজ বা🙈 বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য পৃথকভাবে টাকা দিয়ে ফর্ম ফিল-আপ করতে হবে না পড়ুয়াদের। সরকারি বা সরকার-পোষিত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরো ভরতি প্রক্রিয়াটি কেন্দ্রীয় ভাবে একটি পোর্টালের মাধ্যমে হবে। সেই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উচ্চশিক্ষা দফতর। যে নিয়ম আগামী শিক্ষাবর্ষ (২০২৩-২৪) থেকেই কার্যকর হতে চলেছে। অর্থাৎ যে পড়ুয়ারা এবার উচ্চমাধ্যমিক দিয়েছেন, তাঁরাই প্রথমবার কেন্দ্রীয় পোর্টালের মাধ্যমে কলেজে ভরতি হবেন।
সোমবার রাতের দিকে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতরের তরফে একটি গেজেট বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, রাজ্যের সমস্ত সরকারি বা সরকার-পোষিত কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভরতি প্রক্রিয়ায় অভিন্নতা এবং সামঞ্জস্য বজায় রাখতে নয়া শিক্ষাবর্ষ থেকে একটি কেন্দ্রীয় পোর্টাল চালু করা হচ্ছে। তার ফলে একটি প্ল্যাটফর্মেই পড়ুয়ারা নিজের পছন্দের নিজের পছন্দের বিষয় বা অন্য বিষয়ে ꩲভরতির জন্য আবেদন করতে পারবেন। তাতে যেমন পড়ুয়াদের একাধিকবার ভরতি হতে হবে না, তেমনই কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ আসন ভরতি হওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে।
এমনিতে ছাত্র ইউনিয়নের দাদাগিরি কমানোর জন্য কয়েক বছর আগে থেকেই রাজ্যের সরকারি ও সরকার-পোষিত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে ভরতি প্রক্রিয়া শুরু হয়। তারপরও অবশ্য ঘুরপথে ভরতির জন্য ছাত্র ইউনিয়নের বিরুদ্ধে লাখ-লাখ টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠতে থাকে। সেই পরিস্থিতিতে পুরো ভরতি প্রক্রিয়াটি একই ছাতার তলায় আনতে উদ্যোগী হয় রাজ্য সরকার। দীর্ঘদিন আলোচনা চললেও কোনওভাবেই বিষয়টি 🌳ফলপ্রসূ হচ্ছিল না। শেষপর্যন্ত গত সপ্তাহে সেই কেন্দ্রীয় পোর্টাল চালু করার সিদ্ধান্তে অনুমোদন দেয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বধীন রাজ্যের মন্ত্রিসভা।
আরও পড়ুন: HS 2023 Result Date: কবে উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল প্রকাশিত হবে? পরীক্ষা শুরুর আগেই জ🌳ানাল সংসদ
কেন্দ্রীয় পোর্টালে ভরতির ফলে কী কী সুবিধা হবে?
শিক্ষা মহলের মতে, একটি কেন্দ্রীয় পোর্টালের মাধ্যমে ভরতি প্রক্রিয়া চালু হওয়ার ফলে পড়ুয়ারা ব্যাপক লাভবান হবেন। কারণ অনেক ক্ষেত্রেই পড়ুয়ারা নিজেদের পছন্দের কলেজে নিজের পছন্দ বিষয় নেওয়ার জন্য ফর্ম ফিল-আপ করতেন। সঙ্গে আরও একাধিক কলেজে একাধি✱ক বিষয়ে ফর্ম ফিল-আপ করে রাখতেন। অনেক সময় ওই পছন্দের কলেজে তালিকা অনেক পরে বেরোত। ততদিনে অন্যান্য কলেজে অ্যাডমিশন লিস্ট বেরিয়ে যেত।
সংশ্লিষ♑্ট মহলের বক্তব্য, নিজের পছন্দের কলেজে আদৌও সুযোগ মিলবে কিনা, সেই দোটানায় পড়ে পড়ুয়ারা কোনও একটি কল🌌েজে ভরতি হয়ে যেতেন। তারপর নিজের পছন্দের কলেজের অ্যাডমিশন লিস্টে নাম উঠলে সেই কলেজে ভরতি হতেন। ফলে প্রথম যে কলেজে ভরতি হতেন, সেখানে একলপ্তে যে টাকা দিয়েছিলেন, সেটা পুরো জলে যেত। আবার পডুয়াদের বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ফর্ম ফিল-আপের জন্য একটা টাকা দিতেও হত। কিন্তু এবার কেন্দ্রীয় পোর্টালের মাধ্যমে ভরতি প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার ফলে ওই বাড়তি টাকা খসবে না।
আরও পড়ুন: Bengali Silicon Valley: জমি পেয়েছে রিলায়েন্স, আ🥃দানি, টাটা! ২০২৫ নাগাদ বাংলায় আসবে ৫০ হাজার চাকꦦরি
শুধু তাইꦏ নয়, সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, পুরনো প্রক্রিয়ায় কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক ফাঁকা পড়ে থাকত। কারণ যে পড়ুয়ারা একবার কোনও কলেজে ভরতি হওয়ার পর অন্য কলেজে যেতেন, তাঁদের সেই ছেড়ে যাওয়া কলেজে অনেক সময় আসন ফাঁকা থেকে যেত। কারণ সকলের তো দু'টি কলেজে ভরতি হওয়ার মতো আর্থিক সংস্থান ছিল না। সেই 🌄পরিস্থিতিতে একটি কেন্দ্রীয় পোর্টালের মাধ্যমে ভরতি প্রক্রিয়া চালু হওয়ার ফলে ফাঁকা আসনের সংখ্যা কমবে বলে আশাপ্রকাশ করেছে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতর। যে কেন্দ্রীয় পোর্টালের রক্ষণাবেক্ষণ করবে রাজ্য সরকার।
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বা𝓀ংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক )