মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের শীর্ষ পদে থাকা ৪ আইপিএস-কে বদলি করে দেওয়া হল। সেই বদলির বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয় স্বরাষ্ট্র দফতরের থেকে। জানা গিয়েছে, আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারকে বদলি করা হয়েছে। নতুন কমিশনার হয়ে আসানসোল-দুর্গাপুরে গিয়েছেন আইজি, সিআইডি সুনꦛীল কুমার চৌধুরী। এদিকে বিদায়ী কমিশনার সুধীর কুমার নিলাকান্তমকে বদলি করে রাজ্য পুলিশের অন্য বিভাগ💯ে পাঠানো হয়েছে। সেখানে তাঁর পদ অবশ্য ডিআইজি। এদিকে আইপিএস লক্ষ্মী নারায়ণ মিনাকে রাজ্যের কারা বিভাগের এডিজি পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এদিকে কারা বিভাগের বিদায়ী এডিজি সঞ্জয় সিংকে পুলিশের সশস্ত্র বিভাগের এডিজি করা হয়েছে।
মনে করা হচ্ছে, সাম্প্রতিক সময়ে আসানসোল এলাকায় বেশ কয়েকটি খুনের ঘটনায় পুলিশের দক্ষতার ওপর প্রশ্নচিহ্ন উঠেছিল। এই আবহে সুধীরജ কুমার নিলাকান্তমকে সেই পদ থেকে সরানো হল। তাঁর জানায় দক্ষ আইপিএস অফিসার সুনীল কুমার চৌধুরীকে সেখানে পাঠানো হয়েছে। সিআইডির উঁচু পদে থাকায় অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের তদন্তে পেশ দক্ষ তিনি। রয়েছে অভিজ্ঞতা। যদিও সমস্ত বদলিকেই রুটিন বদলি হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে সরারি বিজ্ঞপ্তিতে।
এর আগে চলতি বছরের শুরুর দিকে বীরভূমের পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠীকে বদলির নির্দেশ দিয়েছিল নবান্ন। সেখানের নতুন পুলিশ সুপার করা হয়েছিল ভাস্কর মুখোপাধ্যায়। তিনি আগে ছিলেন সুন্দরবনের দায়িত্বে। এছাড়াও গত মার্চ মাসে মোট ৫১ জন পুলিশ আধিকারিককে বদলি করা হয়। বদলি করা হয় কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান মুরলীধরকেও। তাঁর জায়গায় গোয়েন্দা প্রধান হন শঙ্খশুভ্র চক্রবর্তী। এদিকে জ্ঞানবন্ত সিং এডিজি (এসটিএফ) থেকে বদলি করে সশস্ত্র বাহিনীর এডিজি করা হয়েছিল। এদিকে কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের যুগ্ম কমিশনার সন্তোষ পাণ্ডেকেও বদলি করা হয়েছিল। তাঁকে যুগ্ম কমিশনার (সদর) পদে বদলি করা হয়। কলকাতা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হন শুভঙ্কর সিনহা সরকার এবং কল্যাণ মুখোপাধ্যায়। এদিকে মার্চ মাসের এই পদবদলের পর ফের অগস্টে গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি পদে রদবদলে গুঞ্জন ছড়িয়েছে। যদিও নবান্ন দাবি করছে এগুলি রুটিন বদলি। তবে বিভিন্ন মহলে দাবি, স🤡াধারণত বড় রদবদলের কয়েক মাসের মধ্যে আবার এই ধরনের রদ🍌বদল হয় না।