উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন পড়ুয়ারা। সেই পরিস্থিতিতে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফে আশ্বাস দেওয়া হল, রেজাল্ট নিয়ে কোনও অভাব-অভিযোগ থাকলে, তা খতিয়ে দেখা হবে। সেজন্য সাতদিন বেঁধে দেওয়া হয়েছে। শনিবার সংসদের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে, উচ্চ মাধ্যমিকের রেজাল্ট নিয়ে কোনও অভাব-অভিযোগ থাকলে সাতদিনের মধ্যে প্রধান শিক্ষকদের সংসদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে উপযুক্ত নথি-সহ আবেদন জানাতে হবে। সেই অভিযোগের দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে সংসদ। সেইসঙ্গে জানানো হয়েছে, রবিবার এবং ছুটির দিনও দুপুর একটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত সেই অভিযোগ জানানোর ব্যবস্থা থাকছে। গত বৃহস্পতিবার উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশিত হয়েছে। এবার রেকর্ড ৯৭.৬৯ শতাংশ পড়ুয়া পাশ করেছেন। কিন্তু যে পড়ুয়ারা উত্তীর্ণ হতে পারেননি, তাঁদের একাংশ ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। কলকাতা, উত্তর দিনাজপুর থেকে শুরু করে নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনার মতো একাধিক জেলায় বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তাঁরা। কেউ কেউ তো আদালতে যাওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তারইমধ্যে শনিবার বিকেলে সংসদের সভাপতি মহুয়া দাসকে নবান্নে তলব করা হয়। বৈঠকে ছিলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী এবং শিক্ষাসচিব মণীশ জৈন। যে পড়ুয়ারা পাশ করতে পারেননি, তাঁদের বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করার জন্য সংসদ সভাপতিকে আর্জি জানান তাঁরা। নবান্ন সূত্রে খবর, যেভাবে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে, তা প্রশমনের জন্য সংসদকেই ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। সংসদের সভাপতি ভূমিকা নিয়ে নবান্ন অসন্তোষ প্রকাশ করেছে বলে সূত্রের খবর। এমনিতেও উচ্চ মাধ্যমিকের ‘প্রথম’ হওয়া রুমানা সুলতানাকে ‘মুসলিম’ হিসেবে উল্লেখ করে বিতর্কে জড়িয়েছেন সংসদের সভাপতি।