এগরা পুরসভার বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার পাশে জড়ো হচ্ছে আবর্জনা স্তূপ। ঠিকমতো পরিষ্কার না হওয়ার কারণে সেখান থেকেই ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। পুর প্রশাসনের তরফে আবর্জনা ঠিকমতো পরিষ্কার না হওয়ার কারণে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।রাস্তার ধারে জমে থাকা আবর্জনা স্তূপ নিয়ে এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা কবিতা প্রধান জানান, ‘একেই করোনা পরিস্থিতি চলছে। সেইসঙ্গে এলাকার ডায়েরিয়ার প্রকোপ বেড়ে গিয়েছে। জ্বরের প্রকোপও বেড়েছে। নোংরা আবর্জনা দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকার কারণেই এলাকার মানুষ খুবই সমস্যার মধ্যে পড়েছে। পুর প্রশাসনের কোনও হেলদোল নেই। আমরা ভাবছি, আমরা আন্দোলনে নামব। নিজেরাই জোটবদ্ধ হয়ে আবর্জনা পরিষ্কার করব। সবটা তো আমাদের পক্ষে করা সম্ভব নয়। নিজেদের এলাকাটুকু তো করি। কিছুটা তো পরিষ্কার হোক।’ পুর প্রশাসনের বিরুদ্ধে নিজের ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন এলাকার আরেক বাসিন্দাও। তাঁর মতে, এখানে তো সেই অর্থে কোনও ভ্যাট নেই। আমার দোকানের সামনেই নোংরা আবর্জনার স্তূপ এমনভাবে করা হয়েছে যে দোকান খুলতেই পারছি না। চারিদিকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। দ্রুত এই আর্বজনা পরিষ্কার করলে খুব ভালো হয়।এই প্রসঙ্গে তৃণমূল পরিচালিত পুর প্রশাসনকেই কাঠগড়ায় তুলেছে বিজেপি। বিজেপির তরফে অভিযোগ, 'দীর্ঘদিন পুরভোট হচ্ছে না। ঘন ঘন পুর প্রশাসক বদল করা হচ্ছে। যাকেই পুর প্রশাসক করা হচ্ছে, তিনি কাটমানি খেতে ব্যস্ত। নতুন পুর বোর্ড গঠন না হওয়ায় আসলে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়ছে।' যদিও অভিযোগ উড়িয়ে এগরার পুর প্রশাসক স্বপন কুমার নায়েক জানান, 'পূর্ব মেদিনীপুরে একমাত্র এগরা পুরসভারই নিজস্ব আবর্জনা ফেলার জায়গা রয়েছে। জেলায় যে পাঁচটি পুরসভা রয়েছে, কোথাও এই ধরনের ব্যবস্থা নেই। প্রতিদিন ভ্যাট পরিষ্কার করা হয়। সেই ভ্যাট থেকে ময়লা নিয়ে গিয়ে আবর্জনা ফেলার জায়গায় পড়ে। পাশাপাশি এগরায় রোগব্যাধি অন্যান্য এলাকা থেকে অনেকটাই কম। পুরসভার নিজস্ব ৬ বিঘা ডাম্পিং গ্রাউন্ড রয়েছে। এটা আমাদের কাছে গর্ব। কারণ, ওটা যদি না থাকত, তাহলে এগরা এলাকা ময়লা, আবর্জনায় ভরে যেত।'