আজ, বুধবার নতুন করে ডিভিসি জল ছাড়ায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে বলে জানতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরই দুপুরে জেলা সফরের উদ্দেশে রওনা হন তিনি। পথে বানভাসী মানুষজনের সঙ্গে গাড়ি থামিয়ে কথা বলেন। আজ এই পরিস্থিতির জন্য ডিভিসির বিরুদ্ধে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সূচি অনুযায়ী, হাওড়া–হুগলি হয়ে আজ পশ্চিম মেদিনীপুরে রাতে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী। আর আগামীকাল, বৃহস্পতিবার ঘাটালের বন্যা কবলিত এলাকায় পৌঁছবেন। কিন্তু প্রত্যেকটি জেলার পরিস্থিতি নিয়ে খবর নিচ্ছিলে ফোনে। আর তখনই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে খবর আসে ঘাটালের বন্যা প🥃রিস্থিতি ভয়াবহ আকার নিয়েছে। এই খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিকে পথে যাওয়ার সময় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে খবর আসে, দাসপুরে ভেঙে পড়েছে একটি দোতলা বাড়ি। কেশপুরে জলের তোড়ে ভেসে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে এক শিশুর। বিষয়টি জানতে পেরেই এক মুহূর্ত দেরি না করে ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে মেদিনীপুরের পরিবর্তে ডানদিকের রাস্তা দিয়ে ঘাটালে পৌঁছে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এখানে তিনি বলেন, ‘ফরাক্কায় ড্রেজিং হয় না। ডিভিসিতেও তা করা হয় না। ড্রেজিং হলে আরও ২ লক্ষ কিউসেক জল ডিভিসিতꦡে রাখা যেত। হাতজোড় করে জল না ছাড়ার জন্য অনুরোধ করেছিলাম। বলেছিলাম আমাদের এখানে বৃষ্টি হচ্ছে। অ♎ল্প করে জল ছাড়ুন। কিন্তু প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ কিউসেক জল ছেড়েছে। আমরা ডিভিসির ব্যবহারে স্তম্ভিত।’
আরও পড়ুন: ‘জুনিয়র ডাক্তাররা যা করছেন সেটা কিন্তু বাড়াবাড়ি’, হুঁশিয়ারি দিলেন বিধায়ক অসিত
অন্যদিকে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে বন্যা পরিস্থিতির একেবারে নিখুঁত খবর নেন। কোথায় কত মানুষ জলবন্দি, কোন এলাকার বাঁধ নতুন করে ভেঙে পড়ছে, কত মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে, কতগুলি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে, সেখানে পর্যাপ্ত খাবার আছে কিনা—সব খবর নেন। আর তারপরই মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘বাংলাকে বঞ্চনা করছে। ঝাড়খণ্ড এবং অন্য রাজ্যকে বাঁচাচ্ছে। অন্য রাজ্য বাঁচুক তাতে আমার আপত্তি নেই। কিন্তু বাংলায় কেন জল ছেড়ে দেওয়া হবে। ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ২০ বছর ধরে পড়ে আছে। ওরা করছে না। আমরা এই কাজটা করে দেব। দেড় হাজার কোটি টাকা খরচ হবে। আমাদের কাজটা করতে দু’বছর সময় লꦬাগবে। তার মধ্যে হয়ে যাবে।’