পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পর থেকেই চর্চিত হয়েছে তাঁর নাম। তবে এহেন মোনালিসা দাস এখন কোথায়, তা জানা নেই কারও। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে পরিচিতি ছিল অধ্যাপিকা মোনালিসার। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ নিয়ে সংবাদম♕াধ্যমে জোর বিতর্ক শুরু হয়েছিল। পার্থবাবুকে ‘অভিভাবক’ আখ্যা দিলেও এই দুর্নীতির বিষয়ে তিনি অবগত নন বলেই জানিয়েছিলেন। তবে তাঁর বিরুদ্ধেও উঠেছে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ। এই আবহে সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলার শিক্ষিকার খোঁজ মিলছে না বর্তমানে।
জল্পনা শুরু হয়, তাঁকে ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে ইডি। তবে তদন্তকারীদের তরফে এমন কোনও তথ্য জানানো হয়নি। তবে এর আগে দাবি করা হয়েছিল, শান্তিনিকেতনে মোনালিসার মালিকানাধীন একাধিক বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে ইডি। এই সবের মাঝেই মিডিয়ার নজর এড়াতে পারেনি মোনালিসার ‘উত্থান’। দাবি করা হচ্ছে, প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দৌলতেই মোনালিসার এই উত্থান। এরই মাঝে মোনালিসার ছাত্রদের ‘অগ্রাধিকার’ দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। দাবি করা হয়েছে, গত ২১-এর🅷 নির্বাচনে পার্থবাবুর হয়ে তিনি বেহালায় প্রচারেও ছিলেন।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পরই একাধিক মহল থেকে দাবি করা হয় যে শান্তিনিকেতনে একসঙ্গে যেতেন পার্থ ও মোনালিসা। যদিও সেইসব দাবিকে ‘রটনা’ আখ্যা দিয়ে উড়িয়ে দেন মোনালিসা। তবে তা সত্ত্বেও মোনালিসার পদোন্নতি থেকে সম্পত্তির পরিমাণ, বাংলাদেশ ভ্রমণ নিয়ে চর্চার অন্ত নেই। অভিযোগ উঠছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘সুপারিশেই’ এসব সম্ভব হয়েছিল। এরই মাঝে তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা বিভাগের ডিন শান্তনু ঘোষ জানান, গত কয়েকজিন বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেননি মোনালিসা। মোনালিসা ছুটিতে আছেন বলে জানান শান্তনুবাবু। এদিকে তিনি আরও জানান, মোনালিসা এখন আর বাংলা বিভাগের প্রধান নন। দু’বছর হল সেই পদে নেই তিনি। এদিকে সংবাদমাধ্যমের তরফে মোনালিসার মামা সুপ্রতীক চক্রবর্তীর সঙ্গে যোগাযো🌸গ করা হয়। মোনালিসা কোথায় জানতে চাওয়া হলে প্রথমে তিনি বলেন ‘খড়দহ’। এর পরপরই অবশ্য তিনি নাকি বলেন, ‘জানি না।’ তবে তিনি দাবি করেন, এই সব দুর্নীতির সঙ্গে তাঁর ভাগ্নে কোনও ভাবে🙈 জড়িত নন।