রবিবার অমানবিক দৃশ্য ধরা পড়েছে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে।শববাহী গাড়ি না মেলায় সন্তানের দেহ ব্যাꦇগে করে নিয়ে বাসে বাড়ি ফিরেছিলেন কালিয়াগঞ্জের এক ব্যক্তি। গত ৫ জানুয়ারি একইরকম ঘটনা ঘটেছিল জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। লক্ষ্মীরানি দেওয়ান (৭২) নামে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছিল ওই হাসপাতালে। কিন্তু টাকা না থাকায় অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করতে পারেনি ওই বৃদ্ধার পরিবার। ফলে তাঁর দেহ কাঁধে নিয়ে হাঁটা দিয়েছিলেন স্বামী জয়কৃষ্ণ দেওয়ান ও ছেলে রামপ্রসাদ। এবার একই ছবি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালꦛ কলেজে ধরা পড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করলেন সেই জয়কৃষ্ণ দেওয়ান।
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে পাঁচ মাসের সন্তানের মৃতদেহ ব্যাগে ♌করে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি জানার পরেই তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন জয়কৃষ্ণ। তিনি বলেন, ‘গরিব মানুষকে কেন হাসপাতাল থেকে মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার জন্য কেন বার বার এমন হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে? আমাদের ঘটনার ক্ষেত্রে জেলাশাসকের কাছে সাহায্য চেয়ে আবেদন জানিয়েছিলাম।’ প্রয়োজনে স্বাস্থ্য সা𒆙থী কার্ড থেকে যাতে ভাড়া কেটে অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করা যায় সেবিষয়ে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাবেন বলে জানিয়েছেন। জলপাইগুড়ি সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ধরনের ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে তার জন্য জেলা প্রশাসনের নির্দেশে হাসপাতাল থেকে সংশ্লিষ্ট ব্লকের বিডিওদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
এদিকে, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের ঘটনা সামনে আসতেই রাজ্যজুড়ে উঠেছে সমালোচনার ঝড়। সমালোচনায় সরব হয়েছে বিরোধীরা। এমনকী এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ নবান্ন। এ বিষয়ে উত্তর দিনাজপুর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে নবান্ন। ওই রিপোর্টের একটি প্রতিলিপি স্বাস্থ্য ভবনকেও পাঠাতে বলা হয়ে💙ছে। পাশপাশি, স্বাস্থ্য ভবন থেকে পুরো বিষয়টি জানতে চাওয়ার পর উত্তরবঙ্🐓গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তদন্ত কমিটি তৈরি হয়েছে।