উভকামী স্বামী এবং স্বামীর প্রেমিকের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল স্ত্রী'র জীবন। বিয়ের পর থেকেই বিছানায় একসঙ্গে দুই পুরুষের লাগাতার যৌন নির্যাতন সইতে না পেরে অবশেষে পুলিশের দ্বারস্থ হলেন গৃহবধূ। এমনই অভিযোগ তুলেছেন। পুলিশ ওই গৃহবধূর স্বামীর প্রেমিককে গ্রেফতার করেছে। এরকমই অভিযোগ উঠেছে ডায়মন্ডহারবার পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের রাজারতালুকে। গৃহবধূর স্বামী হলেন পেশায় শিক্ষক। তাঁর বিরুদ্ধে এরকম অভিযোগ ওঠার পরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশও অবাক। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্যাতিতার অভিযুক্ত স্বামীর সঙ্গে বাড়িতে থাকতেন তাঁর 'প্রেমিক'। প্রথমে ভাই হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন তাঁর স্বামী। কিন্তু যতই দিন যায়, ততই আসল ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। নির্যাতিতা মহিলা পুলিশকে জানিয়েছেন, তার বাবার বাড়ি ফলতায়। সম্বন্ধ করে তাদের বিয়ে হয়েছিল ৮ মাস আগে। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে স্বামী এবং স্বামীর প্রেমিক তাঁকে একসঙ্গে বিছানায় যৌন নির্যাতন চালাত। কিন্তু, পরিবারের সম্মানের কথা ভেবে প্রথমে তিনি সে কথা কাউকে জানাতে পারেননি। মুখ বুজে সহ্য করেছিলেন। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত অত্যাচার সইতে না পেরে তিনি প্রথমে ভুষণা মহিলা সমিতির কাছে অভিযোগ করেন। এরপরে তাদের সহায়তায় ডায়মন্ডহারবার থানায় স্বামী এবং স্বামীর প্রেমিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন স্ত্রী।যদিও স্ত্রীর এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তাঁর স্বামী। তাঁর বক্তব্য, তাঁর স্ত্রী মানসিক রোগে আক্রান্ত। সবকিছুতেই শুধু টাকা চাইতেন। তা না দেওয়াতেই তাকে ফাঁসানোর জন্য মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। ধৃতের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, নির্যাতন-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। ডায়মন্ড হারবারের দু'নম্বর ব্লক তৃণমূল সভাপতি অরুণময় গায়েন বলেন, ‘যে পাশবিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে, তা সত্যি প্রমাণিত হলে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া উচিত।’