কয়েক সপ্তাহ আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছিলেন, বাংলাদেশে বন্দি থাকা ভারতীয় মৎস্যজীবীদের 'হাত-পা বেঁধে মারধর করেছে বাংলাদেশ নৌসেনা'। বাংলাদেশ থেকে ভারতে ফিরে আসা মৎস্যজীবীদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণাও করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। এই নিয়ে সম্প্রতি প্রশ্ন করা হয় বাংলাদেশের বিদেশ উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনকে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুকে এই বিষয়ে তৌহিদ বলেন, 'ভারতীয় মৎস্যজীবীদের সঙ্গে খারাপ আচরণের অভিযোগ নিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত করতে বলেছি আমরা। তদন্তের পর যদি দেখা যায়, সত্যিই আমাদের নিরাপত্তাকর্মীরা এর সঙ্গে জড়িত ছিলেন বা কেউ আইন ভঙ্গ করেছিলেন, তাহলে আমরা বিষয়টি আমলে নেব।' (আরও পড়ুন: মোদীর ওপর বাংলাদেশ ছেড়েছেন ট্রাম্প, আর বা🍒উন্সারের মুখে বল ছাড়ল ইউনুস সরকার)
অবশ্য তৌহিদ বলেন, 'সাধারণত ভারতীয় মৎস্যজীবীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করা হয় না। আমি নিজের চার বছরেরও বেশি সময় ধরে কলকাতায় নিযুক্ত ছিলাম কূটনীতিক হিসেবে। মৎস্যজীবী আদানপ্রদান নিয়ে অনেক কাজ করছে। কখনও দেখিনি কোনও দেꦛশের মৎস্যজীবীর সঙ্গে অন্য🐓 দেশ খারাপ আচরণ করেছে। তবে যদি ব্যতিক্রম হয়ে থাকে, তাহলে আমরা তা খতিয়ে দেখব।'
এরই সঙ্গে সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশিদের মৃত্যুর ঘটনাটি উত্থাপন করেন তৌহিদ। বলেন, '২০২৪ সালে ২৪ জন বাংলাদেশি বিএসএফের গুলিতে বিদ্ধ হয়েছেন। ভারতের তরফ থেকে বলা হয়, বেআইনি কার্যকলাপের সঙ্গে এই সব বাংলাদেশিরা যুক্ত থাকে, তাই গুলি করা হয়। তবে এমনটা আর কোথাও হয় না। বিশ্বের প্রায় সব সীমান্তেই অপরဣাধমূলক কর্মকাণ্ড হয়ে থাকে। তবে এভাবে গুলি করে হত্যা করা হয় না। অপরাধ যদি হয়ে থাকে তাহলে তাদের গ্রেফার করা হোক। আদালতে নিয়ে যান তাদের। আদালতের রায়ে কারাদণ্ড হোক দোষীদের। তবে এভাবে সীমান্তে গুলি করে মানুষ হত্যা করা যায় না। বিভিন্ন সরকারের সময়ই সীমান্তে এই ঘটনা ঘটে চলেছে বছের পর বছর। আমার মতে ভারত চাইলে এই বিষয়টিকে থামাতে পারে।'
উল্লেখ্য, নয়াদিল্লিতে বিএসএফ এবং বিজিবির উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হতে চলেছে। বিগত♍ দিনে সীমান্তে কাঁটাতার নিয়ে দুই দেশের মতানৈক্য দেখা দিয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। এদিকে বাংলাদেশিরা সীমান্ত পার করে ভারত থেকে ফসল লুট করে নিয়ে যাচ্ছে। এই সব কারণে বহু জায়গায় সীমান্তে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। এই আবহে সীমান্তে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার বিষয়ে একটি সমাধান সূত্র খোঁজা হতে পারে দুই দেশের বাহিনীর উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে। এমনিতে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল ২০২৪ সালেই। তবে তা পিছিয়ে যায়। অবশেষে এবারে এই বৈঠক হচ্ছে।