ইভিএমে প্রার্থীর নাম পরপর থাকে। আর সেই সঙ্গেই থাকে নোটার অপশন। নান অফ দ্য অ্যাবাভ। অর্থাৎ কোনও ভোটারের যদি কাউকে ভোট দিতে চান না তখন ♎সাধারণত তিনি নোটায় ভোট দেন। অর্থাৎ তিনি ভোট দিলেন কিন্তু কোনও বিশেষ প্রার্থীকে তিনি ভোট দিলেন না। তিনি ভোট দিলেন নোটায়। কিন্তু এবার প্রশ্ন রাজ্যের মধ্যে কোন কেন্দ্রে সবথেকে বেশি নোটার ভোট পড়ল? উত্তরটা হল বাঁকুড়া।
এবারের লোকসভা ভোটে ℱবাঁকুড়া কেন্দ্রে সবথেকে বেশি নোটায় ভোট পড়েছে। সেই কেন্দ্রে সব মিলিয়ে ২৬, ২০৯টি ভোট পেল নোটা। পাশের কেন্দ্র বিষ্ণুপুরে নোটায় ভোট পড়🐻েছে ১৯,১৩২টি ভোট।
এদিকে বিষ্ণপুর আসনে এই বিপুল সংখ্য়ক ভোট নোটায় পড়া নিয়ে ইতিমধ্য়েই নানা চর্চা চলছে। কারণ হিসাবে বলা হচ্ছে এই কেন্দ্রে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্য়ে ভোটের ব্যবধান সাড়ে পাঁচ হাজারের মতো। সেখানে যদি নোটার ভোট থেকে কিছুটা অংশও কোনও প্রার্থী পেয়ে যেতেন তবে 😼ভোটের ফলাফলই এধার ওধার হয়ে যেত।
কিন্তু কেন এত ভোট নোটায় পড়ল?
এনিয়ে নানা কথা উঠছে বিভিন্ন মহলে। এবার বিষ্ণুপুর কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন সুজাতা মণ্ডল। তিনি নিজেই ভোটে পরাজিত হওয়ার পরে দলের একাংশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন। এমনকী তলায় তলায় বিজেপির সঙ্গে দলের একাংশ যোগাযোগ রাখছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই নিরিখে এই নোটায় পড়া ভোট যে আসলে বিক্ষুব্ধ তৃণমূলীদের হতে ♓পারে সেটা নিয়েও কাটাছেঁড়া চলছে পুরোদমে।
সেই সঙ্গেই বাঁকুড়ার ভোট নিয়েও চর্চা চলছে পুরোদমে। আসলে বাঁকুড়ার বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছিলেন দলেরই একাংশ। এমনকী সুভাষ সরকারকে যে প্রার্থী হিসাবে পছন্দ নয় সেটা বলেই ফেলেছি💞লেন দলের নীচুতলার কর্মীদের একাংশ। সেক্ষেত্রে মনে করা হচ্ছে সেই বিক্ষুব্ধ কর্মীদের ভোটই নোটায় পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে নোটায় এই বিপুল ভোট প্রাপ্তি যে কোনও প্রার্থীর চিন্তার কারণ হওয়ার পক্ষে যথেষ্ট।
এদিকে পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে দেশে এবং বাংলায় লক্ষাধিক মানুষ কোনও﷽ রাজনৈতিক দল বা প্রার্থীকে ভোট দেননি। দেশের নিরিখে সেই সংখ্যা ৬২ লক্ষের বেশি। আর বাংলার ক্ষেত্রে সেটা পাঁচ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে। এবারের লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় মোট যত ভোট পড়েছে তার মধ্যে পাঁচ লক্ষের বেশি ভোট পেয়েছে নোটায়। ‘নোটা’ বোতামে ভোট দিয়েছেন ৫ লক্ষ ১৪ হাজা🧜র ৬২৯ জন ভোটার। যা হচ্ছে শতাংশের হিসাবে ০.৮৭ শতাংশ।