রেমাল ঘূর্ণিঝড়কে ঘিরে আতঙ্ক ক্রমশ বাড়ছে। দুপুর থেকেই কলকাতায় বৃষ্টি চলছে। অন্যদিকে উপকূলবর্তী এলাকায় প্রবল ঝোড়ো হাওয়া বইছে। সুন্দরবনের যে দ্বীপগুলি রয়েছে সেখানকার মানুষজনও আতঙ্কিত। এদিকে পরিস্থিতি মোকাবিলায় ইতিমধ্য়েই ময়দানে নেমে পড়েছে এনডিআরএফের টিম। বিপন্ন মানুষের পাশে বরাবরের মতো এবারও রয়েছে এনডিআরএফ।এনডিআরএফের ইস্টার্ন রিজিয়নের কমান্ডার গুরমিন্দর সিং জানিয়েছেন, আজ মধ্য়রাতে রেমাল ঝড়ের ল্যান্ডফল হতে পারে। আইএমডির সতর্কবার্তা অনুসারে ল্যান্ডফলের সময় ঝড়ের গতিবেগ থাকবে ১২০-১৩০ কিমি প্রতি ঘণ্টা। এখনও পর্যন্ত ১৪টি এনডিআরএফ টিমকে মোতায়েন করা হয়েছে। আমাদের মনে হচ্ছে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। তবে এটা সুপার সাইক্লোন আমফানের মতো অতটা হবে না। আমরা দুর্গত এলাকাগুলি থেকে মানুষদের সাইক্লোনিক সেল্টারে স্থানান্তরিত করছি। তিনি জানিয়েছেন, রাত ১২টা নাগাদ ল্যান্ডফল হতে পারে। উপকূলীয় এলাকায় জলোচ্ছাস হতে পারে। সেক্ষেত্রে যে সমস্ত জায়গায় কাঁচা বাঁধ রয়েছে সেখানে সমস্য়া হতে পারে। ১৪টি এনডিআরএফ টিমকে আমরা মোতায়েন করেছি। ২টি করে টিম পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে, একটি করে হাওড়া ও হুগলিতে টিম রাখা হচ্ছে। নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, দুই ২৪ পরগনা, সাগরের কিছু অংশে এনডিআরএফ টিম মোতায়েন করা হয়েছে। আমরা মাইকিং করেছি। যে সমস্ত বিপন্ন মানুষরা রয়েছেন তাদের সরানো হবে সাইক্লোনিক সেল্টারে। ল্যান্ডফল রাত ১২টা নাগাদ হতে পারে। ভারত ও বাংলাদেশ উভয় এলাকাতেই এর প্রভাব পড়বে। প্রচুর বৃষ্টি হতে পারে। তবে আমফান সুপার সাইক্লোন মতো হয়তো হবে না। আমাদের অনুরোধ কাঁচা বাড়়িতে যারা রয়েছেন তাঁরা যেন দ্রুত পাকা সেল্টারে চলে আসেন।এদিকে এনডিআরএফ জওয়ানরা কার্যত যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে নেমে পড়েছেন। ত্রিপল, দড়ি সহ নানা ধরনের সরঞ্জাম তাঁরা মজুত করছেন। শিলিগুড়ি থেকে শুরু করে একেবারে উপকূলবর্তী এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে এনডিআরএফ টিম।এদিকে সুন্দরবনের নদী সংলগ্ন এলাকায় যারা বাড়ি তাঁরা দ্রুত নিরাপদ জায়গায় সরে গিয়েছেন। অনেকেই আত্মীয়র বাড়িতে চলে গিয়েছেন। অনেকে আবার ফ্লাড সেল্টারে চলে গিয়েছেন। অনেকের বাড়িতেই গবাদি পশু রয়েছে। সেই গরু, বাছুর, ছাগল, মুরগি নিয়ে তাঁরা আশ্রয় নিচ্ছেন সাইক্লোনিক সেল্টারে। ঝোড়ো হাওয়ার দাপটে চারদিক উথালপাথাল। সব মিলিয়ে রেমালকে ঘিরে বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক একেবারে চরমে।