মঙ্গলবার শহরের তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি। তার মধ্যেই বেরিয়ে ছিল 🐓চাকরি প্রার্থীদের দুটি মিছিল। সেই মꦆিছিলেন অসুস্থ হয়ে পড়লেন চার চাকরিপ্রার্থী। তীব্র গরমে ভর দুপুরে মিছিল বের করা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। কিন্তু চাকরিদের মতে, 'হকের দাবিআদায়ে আমাদের কাছে দুপুর সন্ধ্যা সব এক হয়ে গিয়েছে।'
ইন্টারভিউ বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের মিছিলে অসুস্থ হয়ে পড়ে শর্মিষ্ঠা দাস বারিক নামে এক চাকরি প্রার্থী। অন্য নবম থেকে দ্বাদশের চাকরি প্রার্থীদের মিছিলে অসুস্থ রাসমণি পাত্র, তনয়া বিশ্বাস, বিল্ব ঘোষ নামে তিনজন। চারজনকেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তাঁরা সুস্থ 𒊎হন।
বিড়লা তারামণ্ডলের কাছ থেকে ইন্টারভিউ বঞ্চিত উচ্চ প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থীদের মিছিলটি শুরু হয়। মিছিলটি শহিদ মিনার পর্যন্ত যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মিছিল ডোরিনা ক্রসিংয়ে পৌঁছতেই কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী রাস্তা বসে পড়েন। তাঁরা স্লোগান দিতে থাকেন। স্লোগান দিতে দিতে অসুস্থ হয়ে পড়েন চাকরিপ্রার্থী শর্মিষ্ঠা দাস বারিক। তাঁর চোখে মুখে জল দেওয়া হয়। তার পর দ্রুত তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে নি𒅌য়ে যাওয়া হয়।
আরও পড়ুন। বিশ্বভারতীর অনুষ্ঠানে নিয়ম ভেঙে জিন্স-রঙিন জামা, 🍰পোশাক বিতর্ক বিশ্ববিদ্যালয়ে
অন্য মিছিলটি দুপুর তিনটে নাগাদ সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে শুরু হয়। মিছিল শেষ হয় গান্ধীমূর্তির পাদদেশে। মিছিলে গন্তব্যে পৌঁছনোর আগেই তিনজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁদের সঙ্গে সঙ্গে পুলꦑিশের অ্যাম্বুলেন্স করে নিয়ে যাওয়া হয় মেডিকেল কলেজে। তাদের মধ্যে দ♋ুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। এক জনকে এখনও হাসপাতালে রেখে দেওয়া হয়েছে।
কেন তীব্র গরমে এই𒐪 মিছিল সে প্রসঙ্গে এক চাকরিপ্রার্থী বলেন, 'এই গরমে মানুষ বাইরে বেরোতে ভয় পাচ্ছেন। আর আমরা পিচ-গলা꧒ রাস্তায় বসে নিয়োগের দাবিতে স্লোগান দিচ্ছি। যত দিন না পর্যন্ত সিট আপডেট করে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে, তত দিন আমাদের এই আন্দোলন চলতেই থাকবে।'
আরও পড়ুন। রাজ্যের তালিকা থেকে🥂ই উপাচার্য নিয়োগ, সুপ্রিম নির্দেশকে স্বাগত বোসের
এদিকে নবম থেকে দ্বাদশের চাকরিপ্রার্থীদের ধর্নামঞ্চের ১১২৯ পেরিয়েছে দিন। সমস্যা মেটানোর লক্ষ্যে বিকাশ ভবনে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ-সহ শিক্ষাকর্তাদের সঙ্গে চাকরিপ্রার্থীদের বেশ কয়েক বার বৈঠক হয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি। এক চাকরিপ্র🌃ার্থী কথায়, 'ফের নিয়োগের দাবিতে এই প্র🙈বল গরমে পথে নামতে বাধ্য হয়েছি।' চলতি মাসে নিয়োগ নিয়ে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি রয়েছে। চাকরি সেদিকে তাকিয়ে রয়েছেন।