রাজ্যের ৬ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের তোড়জোড় শুরু করে দিল নির্বাচন কমিশন। সেজন্য ইতিমধ্যে ৮৯ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে পাঠানো হয়েছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই সব জায়গায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন হয়ে যাবে বলে কমিশন সূত্রে খবর।আগামী ১৩ নভেম্বর পশ্চিমবঙ্গের ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপ – নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। এর মধ্যে রয়েছে তালডাংড়া, সিতাই, নৈহাটি, হাড়োয়া, মেদিনীপুর ও মাদারিহাট। আরজি কর কাণ্ডের পর জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে এই নির্বাচন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। ৬টি আসনের মধ্যে ১টি ছিল বিজেপির দখলে। বাকি ৫টি ছিল তৃণমূলের। উপ-নির্বাচনে সবক’টি আসনে জয় ছিনিয়ে এনে তৃণমূল দাবি করতে চায়, আরজি কর কাণ্ডের কোনও প্রভাব নেই জনমানসে। উলটো দিকে, তৃণমূলের আসনে কামড় বসিয়ে নিজেদের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে চায় বিজেপি। ফলে এবারের উপ-নির্বাচনে একেবারে সাধারণ নির্বাচনের আমেজ।সেকথা আঁচ করেই উপ-নির্বাচনে বিধানসভা নির্বাচনের মতো নিরাপত্তার আয়োজন করতে চলেছে কমিশন। ২৫ অক্টোবরের মধ্যে রাজ্যে ৮৯ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পৌঁছবে বলে জানা গিয়েছে। এর মধ্যে ২৪ কোম্পানি CRPF, ৩০ কোম্পানি BSF, ১২ কোম্পানি CISF, ১০ কোম্পানি ITBP ও ১৩ কোম্পানি SSB মোতায়েন হবে।বলে রাখি, গত লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের একগুচ্ছ বিধায়ককে টিকিট দিয়েছিল তৃণমূল। তাদের মধ্যে মেদিনীপুর থেকে সেখানকার বিধায়ক জুন মালিয়া, বারাকপুর থেকে নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক, কোচবিহার থেকে সিতাইয়ের বিধায়ক জগদীশ বর্মা বসুনিয়া, বাঁকুড়া থেকে তালডাংরার বিধায়ক অরুপ চক্রবর্তী ও বসিরহাট থেকে হাড়োয়ার বিধায়ক হাজি নুরুল ইসলাম জয়লাভ করেন। ফলে বিধায়ক পদে ইস্তফা দিতে হয় তাঁদের। আলিপুরদুয়ার থেকে বিজেপির টিকিটে জয়লাভ করেছেন মাদারিহাটের বিধায়ক মনোজ টিগ্গা। ফলে ওই আসটিও খালি হয়েছে। তবে হাজি নুরুল ইসলাম সম্প্রতি প্রয়াত হয়েছেন, কিন্তু বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে উপ-নির্বাচন ঘোষণা করেনি কমিশন।