নেশামুক্তি কেন্দ্রে তরুণীকে শারীরিক হেনস্থা করার অভিযোগ উঠল। আর তা নিয়ে এখন তোলপাড় কাণ্ড। যাদবপুরেরꦐ সেই তরুণী নেশামুক্তি কেন্দ্র থেকে মুক্তি পেয়ে জানিয়ে দিলেন ভয়ঙ্কর সেই দিনের কথা। নিজের বক্তব্য প্রকাশ করলেন তিনি। সেখানে পুলিশ এবং দু’টি নেশামুক্তি কেন্দ্রকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দিলেন ওই তরণী। একাধিক অভিযোগ করেছেন তিনি। ওই দুই নেশামুক্তি কেন্দ্রে তরুণীর গায়ের পোশাক উন্মুক্ত করে তল্লাশি করারও অভিযোগ কর💫েছেন ওই তরুণী। লালবাজার অবশ্য দাবি করেছে, আইন মেনে সবটা করা হয়েছে। তরুণী চাইলে মামলা করতে পারেন। এই ঘটনা এখন শহরে আলোড়ন ফেলে দিয়েছে।
ঠিক কী ঘটেছিল যাদবপুরে? গত রবিবার যাদবপুর থানা থেকে ওই তরুণীকে নেশামুক্তি কেন্দ্রের গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতি এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলেন তরুণীর বন্ধুরা। এমনকী প্রতিবাদে যাদবপুর থানার সামনে অবস্থান–বিক্ষোভও করেন তাঁরা। একাধিক সংগঠন এই ঘটনায় প্রতিবাদে গর্জে ওঠে। কোনও প্রাপ্তবয়স্ক মানুষকে তুলে নিয়ে যাওয়া যায় না বলে জানান আইনজীবীরা। যদিও অএক চেষ্টা করে কল্যাণীর একটি নেশামুক্তি কেন্দ্র থেকে তরুণীকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসেন তাঁর বন্ধ🌄ুরা।
ঠিক কী জানিয়েছেন তরুণী? ওই তরুণী একটি লিখিত বার্তা প্রকাশ করেছেন। সেখানে তিনি লেখেন, আগে নিয়ে যাওয়া হয় হাবড়ার একটি ✤নেশামুক্তি কেন্দ্রে। সেখানে একটি ঘরে সাতজন মেয়ের সঙ্গে রাখা হয়। ওই ঘরে কোনও জানালা ছিল না। খাবার দেওয়ার জন্য একটা খুপরির ব্যবস্থা ছিল। নেশামুক্তি কেন্দ্রের মালিকের স্বামী গালিগালাজ করে বলে তরুণীর লিখিত বয়ানে অভিযোগ। তারপর রাত ১টা নাগাদ একটি গাড়িতে করে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেটি কল্যাণীর একটি নেশামুক্তি কেন্দ্র। আর সেখানে জোর করে পোশাক খুলিয়ে সারা গায়ে হাত দিয়ে তল্লাশি করা হয়েছে বলে তরুণীর অভিযোগ।
আর কী জানা যাচ্ছে? পুলিশ কেমন করে এই কাজ করল তা নিয়ে জো🌠র আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে তরুণীর বাবাকে সংবাদমাধ্যম জিজ্ঞাসাবাদ করে। যদিও ওই তরুণী তাঁর বাবার বিরুদ্ধেও একাধিক অভিযোগ জানিয়েছেন। আর তরুণীর বাবা সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘আমি এখন অসুস্থ। এই বিষয়ে আর কথা বাড়াতে চাইছি ꦐনা। মেয়ে যাঁদের সঙ্গে ভাল থাকবে ভেবেছে, তাঁদের কাছেই ফিরে গিয়েছে।’