🌱 ২০০৯ সালে কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল ১৫ বছরের ঊর্ধ্বে কোনও বাস শহরে চালানো যাবে না। সেই নির্দেশ অনুযায়ী আগামী বছরের জুলাইয়ের মধ্যে কলকাতায় প্রচুর সংখ্যক বাসের বয়সসীমা ১৫ বছর পেরিয়ে যাবে। সেই সংখ্যাটা প্রায় আড়াই হাজার। ফলে হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, ওই সংখ্যক বাস চালানো যাবে না শহরে। বর্তমানে শহরে যে সংখ্যক বাস রয়েছে এই সংখ্যাটা হল তার অর্ধেক। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এত পরিমাণ বাস বসে গেলে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হবে বলে মনে করছেন বেসরকারি বাস মালিকরা।
আরও পড়ুন: ꦜএকবছর গড়াবার আগেই বন্ধ হল বাস পরিষেবা, দুর্ভোগে পড়লেন সুন্দরবনের মানুষজন
🥃পরিবহণ ও বাস মালিকদের সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ২০২৪ সালের ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে এই বাসগুলি বসিয়ে দেওয়া হবে। বর্তমানে কলকাতায় বাস চলে প্রায় ৫ হাজারটি। ফলে এত সংখ্যক বাস বসে গেলে সে ক্ষেত্রে আড়াই হাজার বাস চলবে শহরে। তারফলে বিভিন্ন রুটে যাত্রীদের হয়রানি বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই অবস্থায় নতুন বিএস ৬ ইঞ্জিনের বাস কিনে দ্রুত নামানো সম্ভব হবে না বলে জানাচ্ছেন মালিকরা। তাদের বক্তব্য, বিএস ৬ ইঞ্জিন বাসের দাম ২৫ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা। তবে বর্তমানে পরিবহণ ব্যবস্থার বেহাল দশা। তাই এত টাকায় বাস কিনতে রাজি নন মালিকরা। এই অবস্থায় বাস মালিকদের দাবি, নতুন বাসের জন্য তাদের আরও কিছু সময় দেওয়া হোক। তাদের বক্তব্য, করোনা পরিস্থিতিতে দু'বছর ধরে রাস্তায় বাস নামেনি। সেক্ষেত্রে তাদের আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। তাছাড়া বর্তমানে জ্বালানি তেলের যে দাম তাতে তাদের খরচ ঠিক মতো উঠছে না। সেক্ষেত্রে তাদের আরও দু'বছর সময় দেওয়া হোক।
ಌএ বিষয়ে বাস সংগঠনগুলির ইতিমধ্যে রাজ্য পরিবহণ দফতরকে চিঠি দিয়েছে। জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, তারা এ বিষয়ে চিঠি দিয়েছেন। তাছাড়া এক ধাক্কাই এতগুলি বাস উঠে গেলে সেক্ষেত্রে যে যাত্রীরা যে কি ধরনের সমস্যার মুখে পড়বেন তা সকলকেরই ভাবা উচিত। দু'বছর অতিরিক্ত সময় দেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে, আরেকটি সংগঠনের বক্তব্য, নতুন বাস নিয়ে তা চালানো সম্ভব নয়। কারণ সেই টাকা ভাড়া থেকে ওঠা সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে পরিবহণ ব্যবসা শেষ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা। যদিও পরিবহণ দফতরের আধিকারিকদের বক্তব্য, এটা আদালতের নির্দেশ মানতেই হবে কিছু করার নেই।