যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগত প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। তারপরেও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বহিরাগত প্রবেশ অব্যাহত। ফের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগতদের হাতে আক্রান্ত হল ছাত্ররা। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কয়েকজন ছাত্রকে মারধর করার অভিযোগ উঠল বহিরাগতদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছেꦬ মঙ্গলবার বিকেলে। এই ঘটনায় ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এক পড়ুয়া মাথায় আঘাত পেয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আর এক ছাত্রকে হাতে কামড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
বিশ্ববিদ্🙈যালয় সূত্রের খবর, গতকাল বিকেল ৪টে নাগাদ কয়েকজন বহিরাগত নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ক্যাম্পাসের ভিꩲতরে ঘোরাফেরা করছিল। সেই সময় ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দুজন পড়ুয়া তাদের ক্যাম্পাস ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে যেতে বলে। তখনই সমস্যা শুরু হয়। প্রথমে তাদের মধ্যে বচসা শুরু হয় এবং তারপরে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পড়ুয়াদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। ঘটনায় একজন ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীর মাথায় আঘাত লাগে বলে অভিযোগ। হেলমেট দিয়ে ওই ছাত্রকে মারধর করা হয়। অন্য এক ছাত্রের হাতে কামড়ের আঘাত রয়েছে। তাদের দুজনকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনার পরে বহিরাগতদের ধরে ফেলে অন্যান্য ছাত্ররা। তাদের প্রথমে অরবিন্দ ভবনে আটꦉকে রাখা হয়। এরপর খবর দেওয়া হয় যাদবপুর থানায়। পুলিশ এসে বহিরাগতদের গ্রেফতার করে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে পুলিশের কাছে এ বিষয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এদিনের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন সহ উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য।
প্রসঙ্গত, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এর আগে বহিরাগতদের আক্রমণের মুখে পড়তে হয়েছে পড়ুয়া অধ্যাপকদের। তারপরে বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগত রুখতে তৎপর হয়েছে কর্তৃপক্ষ। বিনা অনুমতিতে বহিরাগত প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে যাদবপুরে। এ সংক্রান্ত নোটিসও ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকটি গেটে। এর আগে একাধিক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয় বিশ্ববিদ্যা🎐লয় ক্যাম্পাসে। যার অন্যতম কারণ হিসাবে তুলে ধরা হয় বহিরাগত প্রবেশের বিষয়টি। এমনও অভিযোগ উঠছিল, বারবার বহিরাগত প্রবেশের জেরে যাদবপুর ক্যাম্পাসে রাতে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। ক্যাম্পাসে আই💞নশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য এই কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছিল, যে কোনও প্রতিষ্ঠানেই শৃঙ্খলার দিকটি নজജরে রাখা কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব। তার জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপও করতেই হয়। এটিও তার মধ্যেই পড়ে। সহ-উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানিয়েছিলেন, মাঝখানে বহিরাগতদের জন্য অনেকগুলো সমস্যা হয়েছে। বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছিল যা ভীষণভাবে অনভিপ্রেত। এই বহিরাগতদের সঙ্গে এখানকার পড়ুয়াদের একটা অভ্যন্তরীণ সমস্যাও প্রকট হচ্ছিল। সে কারণেই বহিরাগতদের প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। কিন্তু, তারপরেও বহিরাগতদের প্রবেশ অব্যাহত।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার𝓡 লিঙ্ক //htipad.onelink.me/277p/p7me4aup