খুন করার পর হাড় - মাংস আলাদা করে হলুদ মাখিয়ে ট্রলি ব্যাগে ভরে ফ্ল্যাট ছেড়েছিল আততায়ীরা। বাংলাদেশি সাংসদ আনোয়ারুল আজিম খুনে এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি ক♌রলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত নগরপাল (গোয়েন্দা) হারুন আর রশিদ। তাঁর দাবি, বাংলাদেশে খুন করলে পুলিশি তৎপরতায় ধরা পড়ে যাওয়াꦬর ভয়ে আনোয়ারুল আজিমকে কলকাতায় নিয়ে গিয়ে খুন করেছে আততায়ীরা।
আরও পড়ুন: তৃণমূল স🏅রকারের জমানায় জারি ৫ লক্ষ OBC শংসাপত্র বাতিল বলে ঘোষণা করল হাইকোর্ট
পড়তে থাকুন: আ𓆉দালতের রায় মানি না, OBC সংরক্ষণ চলছে, চল꧒বে, প্রকাশ্য মঞ্চে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের দফতের এক সাংবাদিক বৈঠকে রশিদ বলেন, ‘২ – ৩ মাস ধরে আততায়ীরা আনোয়ারুলকে খুনের পরিকল্পনা করেছিল। প্রথমে বাংলাদেশে খুনের পরিকল্পনা করলেও ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে পরিকল্পনা বদল করে তারা। ঠিক হয়, কলকাতায় নিয়ে গিয়ে খুন করা হবে তাঁকে। সেই মতো আনোয়ারকে কলকাতায় নিয়ে যায় আততায়ীরা। সেখানে যে ফ্ল্যাটে সাংসদকে খুন করা হয়েছে সেখানে মূল অভিযুক্ত আখতাউজ্জামান শাহিনকে ৩০ এপ্রিল দেখা গিয়েছিল।’ এর পরই চাঞ্চল্যℱকর দাবি করেন শাহিন। তিনি বলেন, খুনের পর আনোয়ারুলের হাড় মাংস আলাদা করে আততায়ীরা। তার পর হলুদ মাখিয়ে তা ব্যাগে ভরে তারা। এর পর এক একটি ব্যাগ এক এক জায়গায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। রাস্তায় পুলিশ ধরলে যাতে খাবার মাংস বলে চালিয়ে দেওয়া যায় তাই হলুদ মিশিয়েছিল আততায়ীরা। তবে দেহাংশ তারা কোথায় ফেলেছে তা এখনও জানা য🍌ায়নি।’
আরও পড়ুন: পিছিয়ে থাকা সম্প্রদায়ের সংরক্ষণ ছিꦺনতাই করে মুসলিমদের দিয়েছেন মমতা: অমিত 🌠শাহ
রাজ্য পুলিশের CID সূত্রে জানা গিয়েছে, আনোয়ারুলকে যে নিউ টাউনের ওই ফ্ল্যাটেই খুন করা হয়েছে তা স্পষ্ট। খুন করে ট্রলি ব্যাগে ভরে দুষ্কৃতীরা। এর পর একটি অ্যাপ ক্যাব ভাড়া করে আবাসন থেকে তা💜রা বেরিয়ে যায়। কলকাতার একটি শপিং মলের সামনে অ্যাপ ক্যাব থেকে নেমে যায়। সে🅺ই অ্যাপ ক্যাবের চালককে বৃহস্পতিবার ম্যারাথন জেরা করছেন তদন্তকারীরা। দেহাংশ কোথায় ফেলা হয়েছে, তা মরিয়া হয়ে খুঁজছে পুলিশ। খোঁজ চলছে নিহত সাংসদের মোবাইল ফোনটিরও।