বাগুইআটি জোড়া খুন কাণ্ডের চারদিন পেরিয়ে গিয়েছে। বাগুইআটির দুই ছাত্র অতনু দে–অভিষেক নস্করের দেহ উদ্ধার হয়ে শেষকৃত্য পর্যন্ত হয়ে গিয়েছে। শুধু বাবা–মায়ের চোখের জল শুকিয়ে যায়নি। কিন্তু এত কিছু💟র পরেও খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরী এখনও পর্যন্ত ফেরার। নাগাল পাননি তদন্তকারীরা। তবে এই ঘটনায় বাগুইআটি থানার আইসি পরিবর্তন করা হয়েছে। তদন্তভার দেওয়া হয়েছে সিআইডি–কে।ꦕ কিন্তু তারপরও অধরা মূল অভিযুক্ত।
কেমন এগোচ্ছে গোটা তদন্ত? ইতিমধ্যেই সিআইডি’র প্রতিনিধিদল বাগুইআটি থানায় গি🍰য়ে ধৃত অভিজিৎ বসু–সহ চার অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। এমনকী হেফাজতেও নিয়েছে সিআইডি। তথ্যপ্রযুক্তিতে কাজে লাগানো হয়েছে সত্যেন্দ্রকে ধরার জন্য। খুনের জন্য যে গাড়ি ব্যবহার করা হয়েছ🃏িল তার জিপিএস ‘ট্র্যাক’ করা হচ্ছে। আবার সিসিঞিভি ক্যামেরার ফুটেজও জোগাড় করা হয়েছে। গাড়িটি পরীক্ষা করতে বাগুইআটি থানায় গিয়েছিলেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞেরা। গাড়ির গায়ে আঙুলের ছাপও পেয়েছেন তাঁরা।
কেন ধরা যাচ্ছে না সত্যেন্দ্রকে? সিআইডি সূত্রে খবর, দুই ছাত্রের মৃত্যুর পর থেকেই বন্ধ সত্যেন্দ্রর🧔 দু’টি ফোন। মৃতদেহ উদ্ধারের আগে অতনুর ফোন ব্যবহার করে হুমকি পাঠাচ্ছিল সত্যেন্দ্র। পဣরে সেটাও বন্ধ করে দেওয়া হয়। সত্যেন্দ্র শেষবার অতনুর মাকে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করেছিল। বারবার সিম বদল করে গা ঢাকা দিচ্ছে এই অভিযুক্ত। সত্যেন্দ্রর স্ত্রী পূজা পুলিশকে বলেছেন, ২২ অগস্টের পর থেকে তিনি স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। হোয়াটসঅ্যাপ সংস্থাকে চিঠি লিখ🐼তে চলেছেন গোয়েন্দারা। আইপি অ্যাড্রেস জানতে এই পথেই হাঁটতে 𒅌চলেছেন তাঁরা। জঙ্গিদের ট্রেস করতে এটা করা হয়।
আর কী জানা যাচ্ছে? সিআইডি মনে করছেন, সত্যেন্দ্র এখনও বিদেশে পালাতে পারেনি। রাজ্যের মধ্যেই গা–ঢাকা দিয়ে এদিক–ওদিক করছে সে। সিআইডি গোয়েন্দারা ইতিমধ্যেই কুলটি ও শিরীষতলায় যান। সেখান থেকে নানা নমুনা সংগ্রহ করেন তাঁরা। গোয়েন্দারা এক যুবককে ভাঙড়ের ক꧅াশীপুর থানায় নিয়ে এসে জেরা করেন। সেই তথ্যের ভিত্তিতে༒ আজ, পথে নেমেছেন তদন্তকারীরা। সব মিলিয়ে একটা কঠিন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।