কোথাও স্টল বাসার জন্য নিয়ম বা বৈদ্যুতিক সুরক্ষা মানা হচ্ছে না, আবার কোথাও জল জমে রয়েছে মাঠে। এসবের কারণে রবিবার পর্যন্ত কলকাতায় শুরু হল না বাজি বাজার। অথচ কলকাতা পুলিশের নির্দেশিকা অনুযায়ী, গত ২৬ অক্টোবর অর্থাৎ শনিবার থেকে বাজি বাজার বসার কথা। তবে এই সমস্ত জটিলতায় রবিবার পর্যন্ত বꦆসতে পারল না বাজি বাজার। এই অবস্থায় নির্দিষ্ট সময়ে বাজি বাজার না বসলে সে ক্ষেত্রে চোরাপথে অবৈধ বাজি বিক্রির আশঙ্কা করছেন পরিবেশবিদরা।
আরও পড়ুন: সবুজ বাজির আড়ালে বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ শব্দবাজি🐟, শহর–জ🎃েলা–ভিনরাজ্যে পৌঁছে যাচ্ছে
সাধারণত নির্দেশিকা অনুযায়ী, দুটি স্টলের মধ্যে দুরত্ব থাকতে হবে ৯ ফুট। কিন্তু অনেক জায়গাতে সেই নির্দেশিকা না মেনেই স্টল বসানো হচ্ছিল। ফলে দমকল গিয়ে অনেক স্টল খুলে দিয়েছে। গত সপ্তাহে দানার জেরে ব্যাপক বৃষ্টি হয়েছে। বেশ কয়েকটি মাঠཧে জল এখনও জমে রয়েছে। যার ফলে সেখানে স্টল বাঁধার কাজ রবিবার পর্যন্ত করা যায়নি বলেই জানাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
প্রতিবারের মতো এবারও কলকাতায় বৈধ বাজি বাজার বসার কথা কালিকাপুর, টালা, বেহালা এবং ময়দানের শহীদ মিনারের ময়দানে। দক্ষিণ কলকাতায় বাজি বাজার বসছে বেহালার ক্যালকাটা ব্লাইন্ড স্কুলের মাঠে। এ বছর সেখানে ২৪টি স্টল বসার কথা রয়েছে। সেখানে রবিবার পর্যন্ত শুরু করা যায়নি বাজি বাজার। এর কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা জানান, এখানকার মাঠের অবস্থা খুব খারাপ। জল জমে থাকায় তা সম্ভব হয়নি। আজ সোমবার থেকে বাজি বাজার শুরু করার কথা জানান ব্যবসায়ীরা। এদিকে, কালিকাপুরে স্টল বসানোর ক্ষেত্রে নিয়ম না মানার অভিযোগ উঠেছে। ৯ ফুট জায়গা না ছেড়েই অনেকে স্টল বসিয়েছিলেন। তবে পুলিশ এবিষয়ে আপত্তি জানাতেই সে🎶ই ভুল শুধরে নেন ব্যবসায়ীরা।
প্রসঙ্গত, কলকাতা পুলিশের নির্দেশিকা বলা হয়েছিল চলতি মাসের ২১ থেকে ২৫ তারিখের মধ্যে সমস্ত স্টল তৈরি করতে হবে। আগামী ১ তারিখ পর্যন্ত বাজ♑ার থাকবে। আর ২ থেকে ৪ তারিখের মধ্যে স্টল খুলে জায়গা ফাঁকা করে দিতে হবে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত বাজি বাজার শুরু না হওয়ায় সময়সীমা বাড়ানো হবে কিনা তাই নিয়েও প্রশ্ন অনেকের।
এদিকে, এবার বাজির শব্দমাত্রা বাড়িয়ে ৯০ ডেসিবেলের বদলে ১২৫ ডেসিবেল করা হয়েছে। প্রথমে কলকাতা পুলিশ বাজি পরীক্ষা না করার সি🥂দ্ধান্ত নিয়েছিল। তবে পরিবেশবিদদের আপত্তিতে শেষ পর্যন্ত বাজি পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেয় কলকাতা পুলিশ। শেষমেষ দানার কারণে বাজি পরীক্ষা সম্ভব হয়নি। ফলে অন্যান্য বারের তুলনায় এ বার বাজির বিপদ আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।