বিজেপি এবং আরএসএসের নেতারা বেশিরভাগই নিরামিষ আহার করে থাকেন। তবে বাংলার বিজেপি নেতাদের মধ্যে অনেকেই আবার আমিষ খাবার খান। এমনকী নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ থেকে জগৎপ্রকাশ নাড্ডা ও মোহন ভাগবত— সবাই নিরামিষ খাবার খান। সেখানে নরেন্দ্র মোদী মন্ত্রিসভার স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসಞুখ মাণ্ডব্য ডিম খান বলে খবর। সুতরাং আন্ডে কা ফান্ডা তিনি ভালই বোঝেন। তিনি কলকাতায় এসে হাজির। একেবারে সল্টলেকের পার্টি অফিসে। সেখানে তিনি ডিম খেতে চান। কারণ রোজ বিকেলে নিয়ম করে ৪টে ফুল বয়েলড ডিম খান তিনি। আর তাতেই ঢি–ঢি পড়ে যায়। বামুন এল ঘর তো লাঙল তুলে ধর অবস্থা।
কিন্তু সল্টলেকের অফিসে তখন ডিম ছিল না। তাই দৌড়াদৌড়ি শুরু হয়ে যায়। মনসুখ মাণ্ডব্য সোমবার কলকাতায় এসেছিলেন বিশেষ কাজে। দুপুরে আইসিএমআর–এ গিয়ে কোভিডের জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের কাজ কেমন হচ্ছে সেটা দেখে আসেন। তারপর বিকেলে আসেন সল্টলেকে রাজ্য বিজেপির নতুন পার্টি অফিসে। সেখানেই তিনি জানিয়ে দেন, তাঁর চারটে ডিম লাগবে। একদিকে বঙ্গ–বিজেপি ন𒐪েতারা বিশ্বাস করতে পারছেন না। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর আমন্ত্রণে যাতে কোনও ত্রুটি না হয় তাই শুরু হয়ে যায় দৌড়াদৌড়ি।
এদিকে বাংলার 𓆉বিজেপির প﷽ার্টি অফিস নয়াদিল্লির পার্টি অফিসের মতো নয়। যেখানে শুধু নিরামিষ খাবার পাওয়া যায়। তার উপর♔ বাংলা বিজেপির নেতারা সবাই নিরামিষ খাবার খান না। দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার, জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়–প্রত্যেকেই আমিষ খাবার খান। বিরোধী দলনেতার ইলিশ খুব প্রিয় মাছ। কিন্তু ডিম এখানে খুব একটা কেউ খান না। তাই পার্টি অফিসে কয়েকটা ডিমই থাকে। সেটা দু’একজন খান। তাই শেষ হয়ে গিয়েছিল। সেখানে একসঙ্গে চারটি ডিম চেয়ে বসায় বেকায়দায় পড়ে যান বঙ্গ–বিজেপির নেতারা বলে সূত্রের খবর।
তারপর ঠিক কী ঘটল? এদিন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী যখন চারটে ডিম খেতে চান তখন খোঁজ নিয়ে দেখা যায় ক্যান্টিনে ডিম বাড়ন্ত। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার তখন সল্টলেকের পার্টি অফিসে থাকায় তিনি উদ্যোগ নেন। তড়🌃িঘড়ি চারটে ডিম সেদ্ধ আনা হয়। কিন্তু ছুটোছুটি করে আনা হলেও দেখা যায়, ডিমগুলি হাফ বয়েলড হয়ে রয়েছে। তখন মাথায় হাত পড়ে। কারণ মন্ত্রী হাফ বয়েলড ডিম দেখে বিরক্ত হন। এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে আবার একজনকে দোকানে পাঠানো হয়। তখন আসে ফুল বয়েলড ডিম। তখন চারটে ডিমই খেয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলে সূত্রের খবর।