গ্রেফতারির দিনে চূড়ান্ত নাটকের সাক্ষী ছিল রাজ্য। বুধবার বিজেপি নেতা রাকেশ সিংকে আদালতে পেশের দিনেও একপ্রস্থ নাটক চলল। ধাক্কাধাক্কিতে আদালত চত্বরে পড়ে গিয়ে রীতিমতো চিৎকার শুরু করলেন তিনি। শেষপর্যন্ত কোকেনকাণ্ডে আগামী ১ মার্চ পর্যন্ত রাকেশকে পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিল আলিপুর আদালত।মঙ্গলবার বর্ধমানের গলসি থেকে রাকেশ এবং তাঁর এক সঙ্গী জিতেন্দ্র কুমার সিংকে গ্রেফতার করা হয়। ভোররাতে তাঁদের লালবাজারে নিয়ে আসা হয়। তারপর দুপুরের দিকে বিজেপি নেতাকে আলিপুর আদালতে পেশ করে পুলিশ। রাকেশকে পেশের কারণে আদালত চত্বরে ঠাসা ভিড় ছিল। আদালতে কক্ষে ঢোকার আগে ধাক্কাধাক্কিতে পড়ে যান রাকেশ। মাটিতে বসেই চিৎকার জুড়ে দেন। পরে তাঁকে তুলে কোনওক্রমে আদালতের ভিতরে নিয়ে যাওয়া হয়। তারইমধ্যে কলকাতা পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, জেরায় বিজেপির যুব মোর্চা নেত্রীর পামেলা গোস্বামী জানিয়েছেন যে তাঁকে মাদক সরবরাহ করতেন। পামেলার তথ্যের ভিত্তিতে রাকেশকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে পামেলা এবং রাকেশের মধ্যে একজন লিঙ্কম্যান ছিলেন বলে অনুমান করা হচ্ছে। পুরো কোকেনকাণ্ডে আরও কয়েকজন জড়িত থাকতে পারেন বলে ওই সূত্রের ধারণা।অন্যদিকে, মঙ্গলবার ওয়াটগঞ্জে রাকেশের বাড়িতেও একপ্রস্থ নাটক হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে পুলিশকে বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। পরে বাড়িতে ঢুকে ঘণ্টাতিনেক ধরে তল্লাশি চালায়। কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে রাকেশের দুই ছেলে শুভম এবং শিবমকেও গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। বুধবার এসএসকেএম হাসপাতালের তাঁদের শারীরক পরীক্ষা হয়। পরে আদালতে তোলা হলে ৫,০০০ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে তাঁদের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে।