বিভিন্ন মামলার কারণে শিক্ষকদের বদলির পোর্টাল ‘উৎসশ্রী’তে আবেদন গ্রহণ আপাতত বন্ধ রয়েছে। এই অবস্থায় বহু শিক্ষক শিক্ষিকা বদলি নিয়ে বেশ কয়েক বছর ধরেই সমস্যায় পড়েছেন। ঠিক এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষকদের বদলি নিয়ে বড় নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি রাজশেখর মান্থার একক বেঞ্চ পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, অফলাইনে যে সমস্ত আ🐷বেদন আসবে সেগুলি বোর্ডকে বিবেচনা করতে হবে। অর্থাৎ আদালতের ব๊ক্তব্য, পোর্টাল বন্ধ থাকার ফলে শিক্ষকদের বদলি আটকে থাকবে এই যুক্তি কোনওভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। সোমবার এক শিক্ষিকার বদলি সংক্রান্ত একটি মামলায় এমনই জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: ‘নিঃশব্দে কেমন করে এই কাজ হল?’ ‘পাড়ায় সমাধান’ থেকে শিꦜক্ষক বদলি নিয়ে বিচারপতি
মামলার বয়ান অনুযায়ী, তামান্না বেগম নামে এক শিক্ষিকা থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত। তাঁর মেয়েরও শ্বাসকষ্ট রয়েছে। তিনি উত্তর দিনাজপুরের একটি প্রাথমিক স্কুলে প্রায় তিন বছর ধরে শিক্ষকতা করছেন। তাঁর বাড়ি হল বীরভূমে। এই অবস্থায় নিজের এবং মেয়ের শারীরিক অসুস্থতার কারণে বাড়ির কাছাকাছি কোনও স্কুলে বদলি হতে চাইছেন ওই শিক্ষিকা। এদিকে, রাজ্যে শিক্ষকদের বদলি পোর্টাল উৎসশ্রী ২০২২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ🅠 রয়েছে। যারফলে অনলাইনে আবেদন করতে পারছেন না ওই শিক্ষিকা। আর তাতে ওই শিক্ষিকা বদলির জন্য আবেদন করতে পারছেন না। স্বাভাবিকভাবেই এরফলে বদলি আটকে রয়েছে তামান্নার।
এরপর বদলি চেয়ে প্রথমে তিনি অফলাইনে বোর্ডের কাছে আবেদন করেন। কিন্তু বোর্ড সেই আবেদন খারিজ করে দেয়। পরে তিনি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। সেই সংক্রান্ত মামলাতেই কলকাতা হাইকোর্ট আইন অনুযায়ী মামলাকারীর আবেদন বিবেচনা করার জন্য বোর্ডকে নির্দেশ দিয়েছে। একইসঙ্গে, প্রাথমিকের সব বদলির ক্ষেত্রে অফলাইনে আবেদন একইভাবে বিবেচনা করার জন্যও বোর্ডকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। প্রয়োজনে মামলাকারী অফলাইনে নিজের বক্তব্য জানাতে পারবেন। বিচারপতির বক্তব্য, কোনও কারণে যদি অনলাইনে আবেদন বন্ধ থাকে তাহলে কেন অফলাইনে আবেদন নেওয়া হবে না। বহু শিক্ষক শিক্ষিকা রয়েছেন যারা𒀰 বদলির জন্য সমস্যায় পড়ছেন। এই নির্দেশের ফলে বদলি নিয়ে শিক্ষক শিক্ষিকাদের সমস্যার সুরাহা হবে বলেই মনে করছে শিক্ষক মহল।