পরপর দু’দিন দেখা গেল, আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী ভাঙড়ে ঢܫুকতে চেষ্টা করলেন। কিন্তু পুলিশ তাঁকে যেতে অনুমতি দিলেন না। তবে তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক সওকত মোল্লা এবং নেতা আরাবুল ইসলামকেও ভাঙড়ে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। কারণ সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করা আছে। আইন সবার জন্য সমান এই বার্তাই দিয়েছেন পুলিশ অফিসাররা। এবার নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র ভাঙড়ে যেতে না পেরে আজ, সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। আর তাঁকে মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। চলতি সপ্তাহেই এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে শুক্রবার এবং রবিবার ভাঙড়ে যেতে গেলে তাঁর পথ আটকে দেন পুলিশ অফিসাররা। তাঁরা আইএসএফ বিধায়ককে বোঝান যে, এখানে ১৪৪ ধারা জারি করা আছে। কারণ এই ভাঙড় এখন সন্ত্রাস কবলিত এলাকার মধ্যে পড়ছে। তাই এখানে কোনও জনপ্রতিনিধিকেই ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। তখন বচসায় জড়িয়ে পড়েন নওশাদ। পঞ্চায়♐েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, বোমাবাজি এবং গুলি চলেছে এখানে। তাই পুলিশ আর ঝুঁকি নিতে চাইছে না। যদিও পঞ্চায়েত নির🍒্বাচনের দিন কোনও অশান্তি হয়নি। তবে হিংসার ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। যা নিয়ে সিবিআই তদন্ত চেয়েছেন নওশাদ সিদ্দিকী।
অন্যদিকে আজ, সোমবার সিপিএম নেতা তথা বিশিষ্ট আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। তবে তিনি ভিন্ন মামলা নিয়ে এদিন হাজির হয়েছেন। সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের এক বিচারপতির নাম নিয়ে কড়া ভাষায় সমালোচনা করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মন্তব্য অপমানজনক এবং অবমাননাকর বলে মনে♔ করেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তাই আজ কলকাতা হাইকোর্টের প♍্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন তিনি এবং একাধিক আইনজীবী।
আরও পড়ুন: আবার বিপুল পরিমাণ ইলিশ ধরা দিল মৎস্যজীবীদের জ🔯ালে, শুধু অধরা মিষ্ট🌸ি জলের রুপোলি ফসল
আজ, সোমবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবাজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করার আর্জি জানান আইনজীবীরা। প্রধান বিচারপতি মামলাটি শোনার আশ্বাস দেন। তবে এই বিষয়ে লিখি🍒ত অভিযোগ জানাতে বলেছেন প্রধান বিচারপতি। এদিন আদালতে বিকাশরঞ্জন বলেন, ‘আদালতের গরিমা নষ্ট হচ্ছে বলে দৃষ্টি আকꦡর্ষণ করতে চাইছি। একজন ভদ্রলোক একজন নির্দিষ্ট বিচারপতির নির্দেশ নিয়ে অভিযোগ করেছেন। কলকাতা হাইকোর্ট সমাজবিরোধীদের রক্ষাকবচ দিচ্ছে। সমাজবিরোধীরা যাতে অবাধে ঘুরে বেড়াতে পারে সেই ব্যবস্থা করেছে। তাই স্বতঃপ্রণোদিত মামলার আর্জি জানাচ্ছি।’