আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে ইডি–সিবিআই তদন্ত♎ের নির্দেশ বহাল রাখল কলকাতা হাইকোর্ট। আলিপুরদুয়ার মহিলা ঋণদান সমিতিতে এমনই দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তাও আবার ৫০ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ। এই নিয়ে মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। তাতে ইডি–সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এবার সেটা বহাল রাখল বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়কেই বহাল রাখল ডিভিশন বেঞ্চ।
এদিকে এই মামলায় আগেই ইডি–সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তবে আজ, বৃহস্পতিবার এই মামলায় সিআইডিকে পাঁচ𒀰 লক্ষ টাকার জরিমানার নির্দেশ খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আজ বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট করে জানিয়ে দেয়, কোনও জরিমানা দিতে হবে না সিআইডিকে। সিআইডিকে এই জরিমানা করেছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তবে এবার ওই নির্দেশনামা অপসারিত করে ডিভিশন বেঞ্চ। যদিও কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্ত বহাল রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে আলিপুরদুয়ার সমবায় সমিতিতে ৫০ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। যা নিয়ে রাজ্য–রাজনীতিতে ব্যাপক আলোড়ন পড়ে যায়। এই দুর্নীতির প্রেক্ষাপট শুনে তখন অবাক হয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এই মামলায় প্রাথমিকভাবে তদন্ত শুরু করে সিআইডি। কিন্💃তু তদন্তের গতিপ্রকৃতি পছন্দ হয়নি বিচারপতির। তাই জরিমানার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতির ভর্ৎসনার মুখಌে পড়ে সিআইডি। পাঁচ লক্ষ টাকার জরিমানার নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতি তখন বলেছিলেন, ‘আপনাদের নিয়ম অনুযায়ী পদক্ষেপ করুন।’ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য। তাতে এই জরিমানা বাঁচে।
আরও পড়ুন: এবার মিলতে চলেছেꦰ ‘দুয়ারে দলিল’ পরিষেবা, জমি–বাড়ি রেজিস্ট্রিতে নয়া পদক꧙্ষেপ
আর কী জানা যাচ্ছে? তবে জরিমানা বাঁচলেও সিবিআই তদন্ত বাঁচানো যায়নি। তাই এই মামলায় এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। যা নিয়ে জোর চর্চা চলছে। কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে মহিলা ঋণদান সমিতির এক🌸াধিক উপভোক্তা বিষয়টি নিয়ে মামলা দায়ের করেছিলেন। তার প্রেক্ষিতেই জল এত দূর গড়িয়েছে। অভিযোগ, মহিলা ঋণদান সমিতিতে ২১ হাজার ১৬৩ জন টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন। সেখানে ৫০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। পরে সমিতির সদস্যরা জানতে পারেন, ওই সমিতি আসলে উঠেই গিয়েছে। তার ভিত্তিতেই এই মামলা হয়।