শুভেন্দুর বিরুদ্ধে এফআইআর করা যাবে না কেন? এই প্রশ্ন আগে তুলেছিলেন তৃণমূ𓆉ল কংগ্রেসের নেতা–মন্ত্রীরা। এবার কার্যত ঘুরিয়ে এমন প্রশ্নেই সিলমোহর দিলেন খোদ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি। আর তাতেই চাপে পড়ে গিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। কারণ শুভেন্দু অধিকারীকে রক্ষাকবচ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু এবার শুভেন্দুর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার আর্জি জানিয়ে মামলা হল। সুমন সিং নামে এক আইনজীবী জনস্বার্থ মামলা করেছেন। তাঁর অভিযোগ, নন্দীগ্রাম, বড়জোড়া, নয়াগ্রাম–সহ নানা জায়গায় শুভেন্দুর 🌠মন্তব্য পঞ্চায়েত নির্বাচনের অশান্তিতে প্ররোচনা দিয়েছে। উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছেন শুভেন্দু। তাই কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্য পুলিশের ডিজিকে এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দিক।
কলকাতা হাইকোജর্টের প্রধান বিচারপতি এদিন অনুপস্থিত থাকায় বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ মামলাটি শোনেন। শুনানির সময় আইনজীবীর বক্তব্য, শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলেও পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করতে পারছে না। কারণ কলকাতা হাইকোর্টের রক্ষাকবচ দিয়েছে। বারবার সেই নির্দেশ দেখিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কলকাতা হাইকোর্টের আগের নির্দেশ ছিল অন্যায়ভাবে এফআইআর করা যাবে না। কিন্তু যদি কোনও অভিযোগের সত্যতা থাকে তাহলেও এফআইআর করা যাবে না? এ🐎মন নির্দেশ তো দেওয়া হয়নি।
এই সওয়াল শুনে বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়ের প্রশ্ন, ‘যদি আদালত কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে এফআইআর করার উপর নিষেধাজ্ঞা জারিও করে, তাহলে কি ১০ বছর পরেও কোনও অভিযোগ উঠলে পুলিশ এফআইআর করতে পারবে না? যদি কোনও নির্দেশ অন্তঃসারশূন্য হয়, তাহলে কি সেটি বাতিল করা বা ফিরিয়ে নেওয়া যায় না?’ আজ, বৃহস্পতিবার আবার এই মামলার শুনানি রয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। তবে বিচারপতির এই প্রশ্ন শুনে গোটা কলকাতা হাইকোর্টে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। কারণ শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে যে পরিমাণ অভিযোগ রয়েছে এবং প্রমাণ রয়েছে তাতে গ্রেফতার🗹 করাই যায়। তাই তিনি রক্ষাকবচ চেয়েছিলেন আদালতের কাছে। সেটা পেয়েও ছিলেন। কিন্তু সেটা দীর্ঘদিন থাকতে পারে ꧙না।
আরও পড়ুন: ভিড় বাড়ছে কলকাতায়, একু🌄শে জুলাইয়ের সমাবেশে যোগ দিতে জা♔য়গা দখল চলছে
এদিকে শুভেন্দু অধিকারী রক্ষাকবচ পেয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার একক বেঞ্চ থেকে। ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে। তখন আদালত শুভেন্দুর বিরুদ্ধে ওঠা ২৬টি এফআইআরের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিল। একইসঙ্গে বলা হয়েছিল, নতুন কোনও এফআইআর করতে হলে আদালতের থেকে আগাম অনুমতি নিতে হবে। কিন্তু নতুন করে অভিযোগ উঠলেও এফআইআর করা যাচ্ছে না। কারণ রক্ষাকবচ রয়েছে। অন্যদিকে এবার হয়েছে নতুন জনস্বার্থ মামলা। যেখানে স্বয়ং বিচারপতি প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন রক্ষাকবচ নিয়ে। ফলে এখন দেখার জল কতদূর গꦆড়ায়।