আবার সিঙ্গুর ইস্যু প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠল। যে সিঙ্গুর ইস্যু বামফ্রন্ট সরকারের পতনের এবং তৃণমূল কংগ্রেস সরকার স্থানের মূল কারণ সেটা আবার উসকে উঠল। কারণ টাটা মোটরস্কে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিল তিন সদস্যের আরবিট্রাল ট্রাইব্যুনাল। এটাকে অনেকে সালিশি আদালতও বলে থাকে। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। এবার সেই মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি মৌসু✤মী ভট্টাচার্য। সুতরাং এই মামলা নিয়ে নতুন মোড় নিতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে জমি সংক্রান্ত যে বিষয়টি ছিল তাতে সুপ্রিম কোর্টে মান্যতা পায় তৃণমূল কংগ্র🉐েস সরকারের নীতি। কিন্তু এবার বিচারপতি সরে যেতেই টাটা গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শিল্পোন্নয়ন নিগমের পক্ষ থেকে তাদের ৭৬৫.৭৮ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। কারণ তেমনই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। অর্থাৎ আগের রায় বহাল থাকল। সিঙ্গুরে ন্যানো কারখানা বন্ধ হওয়ার প্রেক্ষিতে তিন সদস্যের আরবিট্রাল ট্রাইব্যুনাল এই নির্দেশ দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শিল্পোন্নয়ন নিগমকে। টাটা সংস্থার দাবি, ২০১৬ সালেরꦗ সেপ্টেম্বর মাস থেকে ১১ শতাংশ হারে রাজ্য সরকারকে সুদ দিতে হবে। সঙ্গে মামলার খরচ বাবদ ১ কোটি টাকাও।
অন্যদিকে বিচারপতি সরে গেলে আর নতুন কোনও বিচারপতির এজলাসে এই মামলা যাবে না এমন নয়। সেক্ষেত্রে পরিস্থিতির পরিবর্তন হতেই পারে। যদিও ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের বিবৃতি জারি করে টাটা জানিয়েছে, ‘২০২৩ সালের ৩০ অক্টোবর তিন সদস্যের আরবিট্রাল ট্রাইব্যুনাল সিঙ্গুরে অটোমোবাইল কারখানা মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে। তাতে আরবিট্রাল ট্রাইবুনাল, টাটা মোটরস্কে ৭৬৫.৭৮ কোটি টাকা দিতে বলেছে। ২০১৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে পুরো ক্ষতিপূরণ উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত ১১ শতাংশ হারে সুদ দিতে বলা হয়েছে।’ এই রায়কেই চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে গিয়েছিল রাজ্য সরকার। তাঁদের মামলা দায়ের করার অনুমতিও দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। ওএবার সেই মামলা থেকে সরলেন বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য। সুতরাং আগের রায় বহাল রইল।
আরও পড়ুন: আবার মহু𓆉য়া মৈত্রকে তলব করল ইডি! ফেমা লঙ্ঘনের মামলায় দিতে হবে জব🎃ানবন্দি
এছাড়া বামফ্রন্ট সরকারের জমানায় হুগলির সিঙ্গুরে টাটার ন্যানো গাড়ি কারখানা প্রকল্প হওয়ার কথা ছিল। আর এই প্রকল্পের ঘোষণা করেন বাংলার তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। টাটাকে ১০০০ একর জমি দেওয়া হয়েছিল ওই প্রকল্পের জন্য। কিন্তু সিঙ্গুরে গাড়ি প্রকল্প গড়ে তুলতে পারেনি টাটা গোষ্ঠী। কারণ তখন বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আন্দোলন করে কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। গাড়ি প্রকল্প বাস্তবায়িত না হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার টাটার কাছে জমি ফেরত চেয়ে পাঠায়।🍬 টাটা গোষ্ঠী জমি ফেরাতে রাজি হয়। তবে জমি ফেরানো বাবদ খরচ দাবি করে বসে রাজ্য সরকারের কাছে। জমির দামের সঙ্গেই সেই খরচের অন্তর্ভ♏ুক্ত ছিল ওই জমির পিছনে টাটার বিনিয়োগ করা কয়েক কোটি টাকা। টাটার ওই প্রস্তাবে রাজি হয়নি রাজ্য সরকার। তখনই দু’পক্ষের মধ্যে লড়াই গড়ায় আদালতে।