আগামী ১২ নভেম্বর অর্জুন সিংকে সিআইডির মুখোমুখি হতে হচ্ছে না। বরং তার বদলে ১৪ নভেম্বর মুখোমুখি হতে হবে বিজেপি নেতাকে। কলকাতা হাইকোর্টে গিয়ে চেষ্টা করেছিলেন যদি সিআইডি’র নোটিসের হাজিরা এড়ানো যায়। যদি রক্ষাকবচ পাওয়া যায়। কিন্তু সব চেষ্টাই জলে গেল। কারণ বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের নির্দেশ, ভবানীভবনে গিয়ে হাজিরা দিতে হবে ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদকে। এমনকী তাঁকে চার ঘণ্টা ম্যারাথন জেরা করতে পারবেন তদন্তকারীরা। শুধু তাই নয়, তদন্তের স্বার্থে অর্জুন সিংকে আবার তলব করতে পারবে সিআইডি। তবে সেক্ষেত্রে নভেম্বর𝔉 মাসের শেষ সপ্তাহে ডাকতে হবে।
আগাম🃏ী ১৩ তারিখ নৈহাটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন আছে। তাই তার আগের দিন সিআইডি জেরার মুখে যেতে রাজি নন বলে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করে ছিলেন। তাতে স✱াড়া মিলেছে ঠিকই। তা বলে স্থগিতাদেশ বা রক্ষাকবচ কোনওটিই মেলেনি। উপনির্বাচনের পরের দিনই তাই অর্জুন সিংকে ভবানীভবনে গিয়ে সিআইডি অফিসারদের মুখোমুখি হতে হবে। কলকাতা হাইকোর্টে গিয়ে অর্জুন সিংয়ের আখেরে হিতে বিপরীত হল। তাঁকে কিছু শর্তও বেঁধে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। ২০২০ সালে ভাটপাড়া পুরসভায় চার কোটি টাকা আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে চেয়ারম্যান অর্জুন সিংয়ের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: ‘ওয়াকফ সম্পত্তি বেচে দিতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার’, বিস্ফোরক অভিযোগ ফিরহাদ হাকিমের
এই আর্থিক দুর্নীতির জেরেই তলব করা হয়েছে অর্জুন সিংকে। সিআইডি তাঁকে এই দুর্নীতির বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায়। তাই ১২ নভেম্বর তাঁকে ডাকা হয়েছিল। কলকাতা হাইকোর্টে যেতে সেটা ১৪ তারিখ হল। কিন্তু সিআইডি তলব থেকে রেহাই মিলল না। দিন বদল হলেও এখন অর্জুন সিংকে দুঁদে অফিসারদের মুখোমুখি হতেই হবে। অর্জুন সিংয়ের আইনজীবী বাঁশরী স্বরাজের সওয়াল, উপনির্বাচনের প্রাক্কালে তাঁর মক্কেলকে আসলে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ডাকা হচ্ছে। এসবের নেপথ্যে রাজনৈতিক কারণ আছে। তাই নোটিশ খারিজ করে রক্ষাকবচ দেওয়া হোক। বি𝔉চারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজ🦩লাসে এই আবেদন খারিজ হয়ে যায়।