এবার বিএসসি এবং এমএসসি নার্সিংয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগে দায়ের হল মামলা। আর এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের কাছে জবাব তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। আজ, বৃহস্পতিবার অবকাশকালীন বেঞ্চে জবাব দিতে হবে রাজ্য স্বাস্থ্য ♏দফতরকে। অভিযোগ, প্রথমের দিকে যাঁরা র্যাঙ্ক করেছিলেন সেই🐽সব প্রার্থীদের কলকাতা ও সংলগ্ন জেলা থেকে দূরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তারপর নতুন করে কলকাতা ও সংলগ্ন জেলায় শূন্য আসনের ঘোষণা করে পিছনে র্যাঙ্ক করা প্রার্থীদের সেখানে অবৈধভাবে ভর্তির সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে।
এই মেধা তালিকায় আগে র্যাঙ্ক থাকা সত্ত্বেও প্রার্থীদের দূরে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আর পিছনের দিকে থাকা প্রার্থীদের কাছে ভর্তির সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। এই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন একাধিক প্রার্থী। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের অবকাশ কালীন বেঞ্চে মামলাটি উঠলে, আজ বৃহস্পতিবারের মধ্যে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের বক্তব্য তলব করেছেন বিচারপতি। মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, গত জুন মাসে জয়েন্ট এন্ট্রান্স দিয়ে পাশ করা প্রার্থীদের কাউন্সেলিং হয়। তখন কাছে কোনও মেডিক্যাল কলেজে শূন্যপদ না থাকায় কলকাতা–সহ দক্ষিণবঙ্গের নানা জেলার বহু প্রার্থীকে উত্🌄তরবঙ্গ,ꦰ বাঁকুড়া, বীরভূমের মতো জেলাগুলির কলেজে সুযোগ দেওয়া হয়। ৩১ অক্টোবর কাউন্সেলিংয়ের শেষ দিন। তাই আজই তথ্য তলব করা হয়েছে।
এদিকে ৫ অক্টোবর স্বাস্থ্য দফতর নতুন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানায়, কলকাতা এবং সংলগ্ন জেলায় ৫৭টি শূন্য আসন আছে। আগে যাঁরা ভর্তি হয়েছেন তাঁরা এই কাউন্সেলিংয়ে অংশ নিতে পারবেন না। তখন প্রথমদিকে র্যাঙ্ক করেও যাঁরা দূরের কলেজে ভর্তি হতে বাধ্য হয়েছিলেন, তাঁরা কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন। তাঁদের আইনজীবী বিশ্বরূপ ভট্টাচার্য বলেন, ‘তাঁরা স্বাস্থ্য দফতরে আবেদন করেছিলেন নতুন কাꦛউন্সেলিংয়ে অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়ার জন্য। ꦍকাউন্সেলিংয়ে আপগ্রেডেশনের জন্য স্বাস্থ্য দফতরে আবেদন করলেও, দফতর তাতে কোনও সবুজ সংকেত দেয়নি। এখন প্রশ্ন, পিছনে র্যাঙ্কে থাকা প্রার্থীরা কাছাকাছি কলেজে সুযোগ পেলে তাঁরা কেন বঞ্চিত হবেন?’
আরও পড়ুন: ইতস্তত মনোভাব ছেড়ে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে, ইয়ং ফ্র🎃ন্টকে বার্তা ব꧃িমানের
অন্যদিকে মামলাকারীদের আইনজীবী দাবি করেন, ইচ্ছাকৃতভাবেই প্রথমে শূন্য আসন কমিয়ে দেখানো হয়েছিল। তাহলে যোগ্য প্রার🔥্থীরা দূরের কলেজে ভর্তি হতে বাধ্য হবেন। আজ আবার শুনানি হবে বলে জানিয়ে দেন বিচারপতি। স্বাস্থ্য দফতরের আইনজীবী জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টরের কাছে জবাব তলব করেছে আদালত। আজ ফের মামলার শুনানি আছে।