বেআইনি বাড়ি ভাঙা নিয়ে কড়া নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। কলকাতা পুরসভাকে বাড়ি ভাঙার সময়সীমা বেঁধে দিয়ে হাইকোর্ট স্পষ্টভাবে হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে, রাজ্য পুলিশের সহায়তা নিয়ে বাড়ি ভাঙতে ব্যর্থ হলে কেন্দ্রীয়🔴 বাহিনীর সহায়তা নিতে হবে পুরসভাকে। প্রসঙ্গত, শহরে নির্মাণ ভাঙার জন্য এর আগেও কেন্দ্রীয় বাহিনী নামানোর কথা 🙈বলেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এবার আরও একটি মামলায় এমনই মন্তব্য করল রাজ্যের উচ্চ আদালত। বিচারপতি অমৃতা সিনহা এ বিষয়ে কলকাতা পুরসভাকে নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিধাননগরে হেলে পড়ল ২টি বেআইন🌸ি বহুতল, বাম জমানায় তৈরি দাবি মেয়রের
নারকেলডাঙায় একটি বেআইনি নির্মাণের মামলায় একথা জানিয়েছে হাইকোর্ট। জানা যাচ্ছে, নারকেলডাঙা থানার অধীনে বেআইনিভাবে একটি পাঁচতলা বাড়ি নির্মাণ হয়েছে। তার ভিত্তিতে কলকাতা পুরসভা বাড়িট♓ি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেই। সেই মতো নোটিশও দেওয়া হয়। তবে বাড়িটি ভাঙ💟তে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হল পুরসভা। আদালতে পুরসভার তরফে জানানো হয়, যে তাদের এই বাড়িটি ভাঙতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। তার ফলে কর্মীরা বাড়ি ভাঙতে পারছেন না।
সܫোমবার এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি জানান, যেহেতু পুরসভা নিজেই নির্দেশ দিয়েছে তাই বাড়িটি ভাঙা হল কিনা সেটা দেখার কাজ হল কলকাতা পুরসভার। পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগও তোলে পুরসভা। তাদের বক্তব্য, যে পুলিশ সহযোগিতা করছে না। জবরদখলকারীদের বের করতে সাহায্য করছে না। তাই পুলিশ নিরাপত্তা না দিলে সে ক্ষেত্রে কাজ এগোনো যাচ্ছে না। এ বিষয়ে বেশ কিছু ছবিও কলকাতা হাই কোর্টে পেশ করে পুরসভা। কেএমসির তরফে জানানো হয়, পুলিশ নির🌸াপত্তা না দেওয়ার কারণে বাড়ি ফাঁকা করা যাচ্ছে না।
এই মামলায় হাইকোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়ে কলকাতা পুরসভা। হাইকোর্ট জানিয়ে দেয়, সাত দিনে শুধু পাঁচ তলার ছাদ ভাঙা হয়েছে। তাহলে পাঁচতলা ভাঙতে এক বছর সময় লাগাবে তারা? যদিও পুরসভার তরফে বাড়ি ভাঙার জন্য আরও কিছুটা সময় চাওয়া হয়। কিন্তু, বেশি সময় দিতে চায়নি হাইকোর্ট। বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী ১০ মার্চ ওই নির্মাণ ভাঙার কাজ সম্পূর্ণ করতে হবে। আর তা না হলে কেন্দ্রীয়💎 বাহিনী দিয়ে বাড়ি ভাঙা হবে। যেখানে পুলিশ ব্যর্থ হচ্ছে, সেখানে কেন্দ্রীয় পুলিশ আনতেই হবে।পুরসভা💫র দাবি, প্রথম তলা খালি করা সম্ভব হয়েছে। তবে বাকি অংশে এখনও লোকজন আছে। তাই ভাঙতে সময় লাগছে।