বাগুইআটি জোড়া খুন কাণ্ডের দু’দিন পরই হুমকি দিয়ে বার্তা এসেছিল দুষ্কৃতীদের কাছ থেকে। এমনকী নিহত ছাত্র অতনুর ফোন ব্যবহার করেই তাঁ🥂র বান্ধবী–সহ কয়েকজনকে মেসেজ করা হয়েছিল। পরপর মেসেজ করা সত্ত্বেও লোকেশন ট্র্যাক করা যায়নি। কারণ বারবার সিম বদল করছে মূল অভিযুক্ত। তাই লোকেশন ধরা যাচ্ছে না বলে সিআইডি সূত্রে খবর। অতনুর এক বন্ধু প্রথম মুক্তিপণের জন্য হুমকি মেসেজ পান ২৪ অগস্ট। আবার 💎৩ সেপ্টেম্বর অতনুর বাবার কাছে মেসেজ আসে।
কী তথ্য পেয়েছে সিআইডি? সিআইডি সূত্রে খবর, তদন্তে নেমে তথ্য উঠে আসে যে মৃত ছাত্র অতনুর বান্ধবীর কাছে হুমকি মেসেজ আসে। তিনি বিষয়টিকে গুরুত্ব দেননি🔯। তাই সম্ভবত তিনি কাউকে কিছু জানাননি। এমনকী অতনুর কয়েকজন আত্মীয়কেও মেসেজ করা হয়েছিল। বাগুই🌃আটি জোড়া খুন তদন্ত করছে সিআইডি’র হোমিসাইড শাখা। যে গাড়িতে দুই কিশোর অতনু–অভিষেককে খুন করা হয় সেই গাড়ির আজ ফরেনসিক পরীক্ষা হবে।
মেসেজে ঠিক কী লেখা হয়েছিল? অভিযুক্তদের থেকে যে হোয়াটসঅ্যাপ করা হয়েছিল সেখানে লেখা ছিল, ‘টাকা দিতে পারবি না বুঝতে পারছি, বৃহস্পতিবার ছেলের বডি পেয়ে যাবি।’ এছাড়া আরও কিছু হুমকি দেওয়া হয়। প্রত্যেকটি মেসেজের ক্ষেত্র🎐ে টাকা চাওয়াটাই প্রধান বিষয় ছিল। ২৫ অগস্ট হাড়োয়ায় অভিষেকের দেহ উদ্ধার হয়েছে। তারপরে সেই দেহ উদ্ধারের কথা জানিয়ে থানায় বার্তা দেওয়া হয়। তার আগে, ২৩ অগস্ট ন্যাজাটে অতনুর দেহ উদ্ধার হয়। তখন অতনুর প꧟চাগলা দেহ উদ্ধার হলেও কেন♓ চুপ করে ছিল বসিরহাট থানা? কেন সেই কথা জানাল না বসিরহাট থানা? তা খতিয়ে দেখছে সিআইডি।
আর কী জানা যাচ্ছে? সিআইডি আজ, বৃহস্পতিবার সকালেই পৌঁছে যায় বাগুইআটি থানায়। সূত্রের খবর, যে গাড়িটি ব্যবহার করে অতনু–অভিষেককে খুন করা হয়েছিল তার খোঁজ মিলেছে। গাড়িটির ফরেনসিক পরীক্ষা করা হচ্ছে। বাগুইআটি জোড়া খুনের দু’সপ্তাহ পরেও অধরা মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরী। দুই কিশোরকে খুনের মোটিভ ঘিরেও ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। ৫০ হাজার টাকার জন্যই খুন করতে চাইলে, তার জন্য কেন এ🦂ত খরচ করল সত্যেন্দ্র? এটাই খুঁজছে সিআইডি।