যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ল্যাবরেটরিতে বহু দামি যন্ত্রপাতি রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। যার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কಞাজ ব্যাপকভাবে ব্যহত হচ্ছে। এই পরিস💖্থিতির জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউকেই দায়ী করেছেন শিক্ষকদের একাংশ। তাঁদের বক্তব্য ইসি বৈঠকে এই সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা না করার ফলেই এই ধরনের সমস্যা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: যাদবপুর বিশ✤্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি ভর্তি স্থগিত হয়ে গেল, কী বলছেন উপাচার্য?
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পদার্থ বিভাগে স্ক্যানিং ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপ রয়েছে, যার মূল্য ৪ কোটি টাকা। কিন্তু, এর জন্য বছরে রক্ষণাবেক্ষণের খরচ হল ৪ লক্ষ টাকা। এছাড়াও অন্যান্য ল্যাবরেটরিতেও অনেক দামি যন্ত্রপাতি রয়ে𓆏ছে। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে সেগুলি কার্যত অকেজো হয়ে যাচ্ছে। যার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার কাজ কার্যত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি জুটার দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠকে এই বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করছেন না। সেই কারণে এই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তা🌱ঁদের বক্তব্য, রক্ষণাবেক্ষণ না করলে সে ক্ষেত্রে একদিন কোনও ইঞ্জিনিয়ারকে ডাকলেই ৪০ হাজার টাকা ফি। এতো টাকা কীভাবে দেওয়া হবে?একবারে এত টাকা দেওয়াটা খুবই কঠিন বিষয়।
তাদের অভিযোগ, এর আগে উপাচার্য সুরঞ্জন দাস যখন 🎃দায়িত্বে ছিলেন সেই সময় নিজের হাতে ১ লক্ষ টাকা অনুমোদনের ক্ষমতা রেখেছিলেন। তার চেয়ে বেশি অর্থ হলে ইসি কমিটি নিযুক্ত ওয়ার্কিং কমিটি মঞ্জুরি দিতে পারত। তবে সেই কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। গত ২৬ সেপ্টেম্বর উপাচার্য হিসেবে নিজের হাতে ৭ লক্ষ টাকা মঞ্জুরির ক্ষমতা নিয়েছিলেন বুদ্ধদেব সাউ। তবে এত পরিমাণ আর্থিক পরিধি নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় টাকার পরিমাণ কমিয়ে ৩ লক্ষ করা হয়। উপাচার্যের হাতে এত পরিমাণ আর্থিক পরিধি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরিপন্থী বলে তাঁদের অভিযোগ।