পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়ে গিয়েছে। ফলাফল প্রকাশ পেয়েছে। এখন নানা জেলায় ভোট পরবর্তী হিংসা দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ। নাকাশিপাড়া থেকে মগরাহাট হল সাম্প্রতিক ঘটনা। এমনকী অপহরণের ঘটনাও উঠে এসেছিল রাজ্য–রাজনীতিতে। সিপিএমের দাবি, তাঁদের উপর আক্রমণ নেমে আসছে। তৃণমূল কংগ্রেসকে দায়ী করছেন আলিমুদ্দিনের শীর্ষ নেতারা। গ্রামবাংলা জুড়ে সিপিএমের জয়ী প্রার্থীদের উপর চাপ বাড়ছে বলেও তাঁদের অভিযোগ। এই আবহে আদালতের নির্🃏দেশের উপর নির্ভর করছে জয়ী প্রার্থীদের ভবিষ্যৎ। এখন রাজ্যজুড়ে ‘শ্যাডো পঞ্চায়েত’ গঠনের ডাক দিল সিপিএম।
‘শ্যাডো পঞ্চায়েত’ ব্য꧃বস্থা ঠিক কী? সিপিএম নেতৃত্ব ঠিক করেছে, তাঁদের জয়ী এবং পরাজিত প্রার্থীদের নিয়ে একটি প্রতিনিধিদল গঠন করবে। সেখানে যুক্ত করা হবে সাধারণ মানুষকেও। এই প্রতিনিধিদল দুটি কাজ করবে। এক, ছায়া পঞ্চায়েত গড়ে তুলে মানুষের সুবিধা–অসুবিধা এবং পঞ্চায়েত স্তরে কোনও জনবিরোধী নীতি দেখা দিলে তা নিয়ে আন্দোলনে নামবে। দুই, বিজেপি এবং তৃণমূল কংগ্রেসের নীতির বিরুদ্ধে মানুষকে সংগঠিত করবে এই শ্যাডো পঞ্চায়েত ব্যবস্থা। এমনকী শাসকদল এবং প্রধান বিরোধী দলের নীতির বিরোধিতাও মানুষের সামনে তু🌌লে ধরা হবে। প্রত্যেক জেলায় গড়ে তোলা হবে এই শ্যাডো পঞ্চায়েত।
আর কী জানা যাচ্ছে? এই শ্যাডো পঞ্চায়েত ব্যবস্থা চালু করলে দুটি সুবিধা হবে। এক, মানুষকে প্রকল্প পাইয়ে দিতে কাজ করা যাবে। দুই, এভাবে জনসংযোগও বৃদ্ধি করা যাবে। যা সংগঠনের কাজে লাগবে। তাছাড়া কোনও সরকারি সুবিধার আবেদন করতে ফর্ম পুরণ, রেশন কার্ড, জন্ম–মৃত্যুর শংসাপ🗹ত্রের আবেদন–সহ মানুষের জীবনে নিত্য দিন যে বিষয়গুলি জড়িত সেই কাজে এই শ্যাডো পঞ্চায়েত লাগবে। মানুষকে উন্নত পরিষেবা দিতে সক্ষম হবে। এমনই মনে করছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। এভাবেই মানুষকে সংগঠিত করে আন্দোলনের নতুন পথে এগিয়ে যাওয়া যাবে বলেও তিনি মনে করেন।
আরও পড়ুন: পরিযায়ী শ্রমিকদের জন🍌্য সুখবর আনছে রাজ্য সরকার, দুয়ারে সরকারে বিশেষ ব্যবস্থা
ঠিক কী বলছেন সেলিম? পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং তার পরবর্তী অবস্থা নিয়ে এই শ্যাডো পঞ্চায়েত ব্যবস্থা তৈরি করা হচ্ছে। এই বিষয়ে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই আমরা বিকল্প পঞ্চায়েত গঠনের ডাক দিয়েছিলাম। গোটা রাজ্যে প্রশাসনকে হাতিয়ার করে তৃণমূল কংগ্রেস ভোট লুট করেছে। আমাদের জ෴য়ী প্রার্থীদের শংসাপত্র পর্যন্ত দেয়নি। আদালতে রোজ সরকারের দুর্নীতি উঠে আসছে। তাই আমাদের কর্মীরা সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে প্রত্যেক বুথে শ্যাডো পঞ্চায়েত গঠন করবেন। ছাত্র রাজনীতি করার সময় আমরা ছায়া ছাত্র সংসদ গঠন করেছিলাম। তখন ভোট না হওয়ায় আমাদের কলেজে ছাত্র সংসদ ছিল না। আর তখন ছাত্রছাত্রীদের সমস্যা শোনার কেউ ছিল না। আমাদের সেই শ্যাডো ছাত্র সংসদ সফল হয়েছিল। সেই মডেলেই রাজ্যে শুরু হবে ছায়া পঞ্চায়েত।’