গার্ডেনরিচে নির্মিয়মান বেআইনি বহুতল ভেঙে ১০ জনের মৃত্যুর ঘটনায় কলকাতা পুরসভার বিরুদ্ধে সমালোচনায় মুখর সব মহল। নিজের এলাকায় এই ঘটনায় অস্বস্তিতে মেয়র ফিরহাদ হাকিমও। এই নিয়ে শোরগোলের মধ্যেই বুধবার কলকাতা পুরসভায় বিল্ডিং বিভাগের আধিকারিক ও ইঞ্জিনিয়ারদের বৈঠকে কড়া বার্তা দিলেন মেয়র। তবে𝔉 মেয়রের এই বার্তা ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাটমানি ফেরত দেওয়ার নির্দেশের মতো বলে মনে করছে বিরোধী দলগুলি।
আরও পড়ুন: 'তিনজনই চোর, এটা তো হওয়ারই ছিল'-🅠 বেআইনি বহুতল ভেঙে পড়ায় অবাক নয় গার্ডেনরিচ
এদিনের বৈঠকে ফিরহাদ রীতিমতো রাফ অ্যান্ড টাফ মুডে ছিলেন। ꧅উপস্থিত ইঞ্জিনিয়ারদের বলেন, ‘কোনও বেআইনি নির্মাণের অনুমোদ🎐ন দেবেন না। আমরা ৫ বছরের জন্য থাকব। আপনাদের সারা জীবন চাকরি করতে হবে। যত বড় কেওকেটাই হোক না কেন। কারও কাছে মাথা নত করবেন না।’
ইঞ্জিনিয়ারদের তিনি নির্দেশ দেন, ‘রাস্তায় বেরিয়ে বেআইনি নির্মাণের তালিকা বানান। ᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚসেই ত🍸ালিকা এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারের কাছে জমা দিন। তিনি পুর কমিশনারের সঙ্গে কথা বলে ওই নির্মাণগুলি ভাঙবেন।’ বেআইনি নির্মাণ নিয়ে কোনও ঢিলেমি তিনি মানবেন না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন ফিরহাদ।
এদিন ১৫ নম্বর বরোর সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারকে তীব্র ভর্ৎসনা করেন ফিরহাদ। আগেই তাঁকে শো-কজ করেছে পুরসভা। এদিনের বৈঠকে ফিরহাদ তাঁকে উঠে দাঁড়াতে বলেন। এর পর ওই ইঞ্জিনিয়ারকে উদ্দেশ করে তিন꧃ি বলেন, ‘আপনার গাফিলতির জন্য এতগুলো লোক মরে গেল। হয় আপনি অপদার্থ, নয় চোর। আপনার জন্য আমাকে লোকে চোর বলছে। উলটো দিকের বাড়িতে নোটিশ দিয়ে এলেন আর ওই বাড়িটায় দিলেন না?’
আরও পড়ুন: বাংলার হেভিওয়েট মন্ত্রী অরূপের ভাই স্বরূপের বাড়িতে আয়কর হানা,🙈 ভোর থেকে তল্লাশি
ফিরহাদের হুঁশিয়ারিকে কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা। তাদের দাবি, স্থানীয় কাউন্সিলর শামস ইকবাল ও নিজেকে বাঁচাতে ইঞ্জিনিয়ারদের ঘাড়ে কাঁঠ𓆏াল ভাঙার চেষ্টা করছেন ফিরহাদ। নইলে কার ঘাড়ে ক’টা মাথা যে তৃণমূলের কাউন্সিলরের নির্দেশ অমান্য করে বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে যাবে? বিজেপির এক মুখপাত্র বলেন, কলকাতায় তো তৃণমূলের আমলেই ৫ হাজারের বেশি পুকুর ভরাট করে বেআইনি নির্মাণ হয়েছে। তাতেই তো কলকাতায় তৃণমূলের এক রমরমা। বেআইনি নির্মাণ বন্ধ হলে কলকাতা থেকে তৃণমূল দলটাই উঠে যাবে।