বাংলায় এমন প্রতিবাদ শেষবার কবে হয়েছে সেটা মনে করতে পারছেন না অনেকেই। আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলের প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্রছাত্রীরা মিছিল বের করেছিলেন। এরপরই এনিয়ে চাপে পড়ে যায় সরকার। এরপরই একাধিক স্কুলকে শোকজ করা শুরু করে রাজ্য সরকার। তবে এবার সেই শোকজ নোটিশের বিরুদ্ধে রাস্তায় নাম♋লেন প্রধান শিক্🅘ষকরা।
হাওড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া জেলায় স্কুল পরিদর্শকের অফিসের তরফে যে নোটিশ পাঠানো হয়েছে তা নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত। শিক্ষকদের একাংশের দাবি, স্কুল ছুটির পরে কোনও ছাত্রছাত্রী কোথায় যাবে সেটা তা🍸দের নিজস্ব ব্যাপার। সেটা নিয়ে কীভাবে হাওড়ার তিনটি স্কুলকে শোকজ করা হল স𓆉েটা বোঝা যাচ্ছে না। স্কুলের পরে যে কেউ মিছিল করতেই পারে।
আসলে আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে হাওড়ার তিনটি স্কুলের পড়ুয়ারা মিছিল করেছিল। সেই মিছিলে শামিল হয়েছিল সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা। সেই মিছিলে কয়েকজন শিক্ষক-শিক্ষౠিকাও ছিলেন। আবার সেই মিছিলে প্রাক্তনীরাও ছিলেন। আর সেই মিছিলের কথা শুনেই স্কুলে গিয়েছে শোকজের চিঠি। তবে একটি স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ইতিমধ্য়েই জানিয়ে দিয়েছেন, স্কুলের ছুটির পরে মিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল। এর সঙ্গে স্কুলের ক্লাস নষ্টের কোনও ব্যাপার নেই। তাছাড়া স্কুলের যাবতীয় ক্লাস সেদিন নির্ধারিত সময় পর্যন্ত হয়েছে। তারপর মিছিল হয়েছে। তা নিয়ে বিতর্কের কিছু নেই।
এদিকে পশ্চিম মেদিনীপুরের ডিআইয়ের তরফে একটি নোটিশে বলা হয়েছে, স্কুলের বাইরে রা💦জ্য সরকার আয়োজিত অনুষ্ঠান ছাড়া অন্য কোনও অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারবেন না পড়ুয়ারা। এদিকে এই নোটিশ পাওয়ার পরে কার্যত আতান্তরে পড়ে গিয়েছেন🅺 স্কুলের শিক্ষকদের একাংশ। কারণ স্কুল শেষ হওয়ার পরে কোন স্কুল ছাত্র কোথায় অংশ নেবে সেটা একান্তভাবে তার ব্যাপার। সেক্ষেত্রে কোনও ছাত্র যদি প্রতিবাদ মিছিলে অংশ নিতে চায় সেটা কি স্কুল বারণ করতে পারে?
তবে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, স্কুলের পড়ুয়ারা যদি দলে দলে এই প্রতিবাদ মিছিলে অংশ নিতে শুরু করে তাহলে সমস্যা হতে পারে।🥃 কারণ বাংলাদেশে বিগত দিনে এভাবেই রাস্তায় বেরিয়ে এসেছিল ছাত্র-ছাত্রীরা। আর তাদের আটকাতে গিয়ে বিরাট বিপদে পড়েছিল সরকার। সেকারণেই কি এবার ছাত্রছাত্রীদের মিছিলে যাওয়া আটকাতে এভাবে উঠে পড়ে লেগেছে সরকার? তবে এভাবে দমন পীড়ন করে কি আদৌ সরকার কোনও সুবিধা করতে পারবে?