রেশন দুর্নীতির তদন্তে নেমে রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমনꦜ্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। আবার চালকল মালিক ধৃত বাকিবুর রহমানের দুই কর্মীর মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তা থেকে নাকি উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। এবার তাই রেশন দুর্নীতি ধরতে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ওরফে বালুর মোবাইল ফরেনসিক পরীক্ষায় পাঠাতে চলেছে ইডি। এই দুই মোবাইলে থাকা তথ্য এবং হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট মিলিয়ে দেখতে চান তদন🗹্তকারীরা। রাজ্যের মন্ত্রীর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট থেকে মিলতে পারে রেশন দুর্নীতির নানা সূত্র বলে মনে করছেন তাঁরা। এই বিষয়ে শুক্রবার আদালত থেকে অনুমতি নেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
এদিকে সম্প্রতি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে হানা দেয় ইডꦓি। তখন তথ্য লোপাট করতে বাড়ির পিছনে থাকা পুকুরে নিজের দুটি মোবাইল ফেলে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। কিন্তু বহু চেষ্টায় সেগুলি উদ্ধার করা হয়। আর ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। ওই মোবাইল দুটি ঘেঁটেই নিয়োগ মামলা💜য় তদন্তকারীদের হাতে এসেছে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। তাই মনে করা হচ্ছে বাকিবুর এবং জ্যোতিপ্রিয়র মোবাইল ফরেনসিক দফতরে পাঠালে বিস্ফোরক তথ্য আসতে পারে। গতকাল আদালতে যে তথ্য ইডি পেশ করে সেটা যে উপযুক্ত নয় তা জানিয়ে দেন বিচারক।
অন্যদিকে তাই তথ্য এবং প্রমাণ জোগাড় করতে জোরকদমে নেমে পড়েছে ইডি। এই রেশন দুর্নীতির জেরে আটা খোলা বাজারে বিক্রি করে মোটা অঙ্কের টাকা মুনাফা করত বাকি💛বুর। আর সেই টাকা যেত মন্ত্রীর কাছে বলে মনে করছেন ইডির তদন্তকারীরা। এই নিয়ে আদালতে বেশ কিছু নথি পেশ করেছে ইডি। তবে তাতে অনেক ফাঁক আছে বলে জানিয়ে দেন বিচারক। ইডির হাতে ইতিমধ্যেই উঠে এসেছে দౠুটি মোবাইল ফোনের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট। ধৃত বাকিবুর রহমানের দুই কর্মীর মোবাইল থেকেও বিস্ফোরক তথ্য মিলেছে বলে দাবি ইডির।
আরও পড়ুন: দেদার দ𓂃াম বেড়ে গেল পিঁয়াজের, বাজারে গিয়ে ক্ষোভ ক্রেতাদের♊, কেন এমন বৃদ্ধি?
আর কী জানা যাচ্ছে? ইডি যে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট প🍨েয়েছে সেখান থেকে তাঁরা জানতে পেরেছেন, দু’দফায় মোট ৮০ লক্ষ টাকা পাঠানো হয় ‘এমআইসি।’ বাকিবুরের দুই কর্মী তদন্তকারীদের জানান, এমআইসি মানে মিনিস্টার–ইনচার্জ। আর যে সময়ের কথা তুলে ধরা হচ্ছে তখন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী ছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এভাবেই দুয়ে–দুয়ে চার করে এগিয়েছেন তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, এই বিষয়ে জেরায় বাকিবুর ইডির তদন্তকারীদের জানান, ঋণ হিসেবে দু’দফায় ওই ৮০ লক্ষ টাকা নেন জ্যোতিপ্রিয়। কিন্তু তা প্রমাণ করতে লাগবে নথি। তাই ফরেনসিক পরীক্ষা করতে মোবাইল পাঠানো হচ্ছে।