পরিশ্রুত পানীয় জলের জন্য ওয়াটার পিউরিফায়ারের বরাত দিয়ে নকল যন্ত্র বসল পুলিশ কর্তার দফতরেই! এই ঘটনায় কলকাতা থেকে তিনজন ও দিল্লি থেকে একজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ।পরিশ্রুত পানীয় জলের জন্য জলশোধন যন্ত্র বসানোর বরাত দেওয়া হয়েছিল পুলিশ কর্তার দফতর থেকে। সেই অনুযায়ী ওই দফতরে জল পরিশোধন যন্ত্র বসানো হয়। কিন্তু ওই যন্ত্রটি যে নকল, তা প্রথমে নজরে আসে পিউরিফায়ার সংস্থার কর্মীদের। তখন পুলিশ জানতে পারে, যে ওয়াটার পিউরিফায়ার মেশিনটি বসানো হয়েছে সেটা নকল। এরপরে ওই ওয়াটার পিউরিফায়ার সংস্থার তরফে অভিযোগ দায়ের করা হয়। সংস্থার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ। তারপর কলকাতা থেকে প্রথমে গ্রেফতার করা হয় রাজু ঘোষ ও অভিজিৎ চৌধুরি নামের দু’জন অভিযুক্তকে। এই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে পরে আরেকজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের জেরা করে দিল্লির সুভাষ প্লেস থানা এলাকা থেকে আরেক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।ধৃতদের কাছ থেকে তথ্য পেয়ে গরফা ও মুচিপাড়া থানা এলাকা থেকে প্রচুর পরিমাণে আর ও সিস্টেম, পাম্পিং কল, ফিল্টার থেকে শুরু করে পরিশ্রুত পানীয় জলের যন্ত্রের নকল জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে দিল্লির চতুর্থ অভিযুক্তের নাম উঠে আসে। এরপর এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের আধিকারিকরা দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। সেখানে পৌঁছে সুভাষ প্লেস থানা এলাকা থেকে বিনয় শ্রীবাস্তব নামের এক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে এনফর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের আধিকারিকরা। ২৫ অগাস্ট বিনয় শ্রীবাস্তবের গুদামে তল্লাশি চালানো হয়। সেখান থেকে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকার নকল ওয়াটার ফিল্টারের জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। তারপর স্থানীয় আদালতে তুলে বিনয়কে ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। এখানে তাকে ফের আদালতে তোলা হলে অভিযুক্তের জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক।অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে যে, ওই ওয়াটার পিউরিফায়ার মেশিনের প্রকৃত দাম ১৮ হাজার টাকা। তবে কলকাতার ব্যবসায়ীরা নকল মাল কিনত মাত্র ৬০০-৭০০ টাকায়। তারপরে সই নকল ওয়াটার পিউরিফায়ার বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করা হত। এভাবেই চলছিল জালিয়াতির কারবার। যা দেখে চোখ কপালে উঠেছে দুঁদে গোয়েন্দাদেরও।