ভুয়ো আইএএস থেকে চিকিৎসক আগেই ধরা পড়েছিল। এবার ‘ভুয়ো’ সরকারি ওয়েবসাইট তৈরি করে কাজ করার অভিযোগ গ্রেফতার হল এক যুবক। এই যুবক স্বাস্থ্য ভবনের আঙ্গিকে ভুয়ো ওয়েবসাইট তৈরি করে জন্ম–মৃত্যুর ভুয়ো শংসাপত্র দিচ্ছিল বলে অভিযোগ। তার বিনিময়ে টাকাও নিচ্ছিল ওই যুবক বলে অভিযোগ। সরকারি এক অফিসার এটা ধরতে পেরে অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় বিহারের এক যুবককে। স্বাস্থ্য ভবনের ওয়েবসাইটের ‘নকল’ তৈরি করে বিভিন্ন ব্যক্তিকে জন্ম–মৃত্যুর ভুয়ো শং✱সাপত্র দিয়েছে সে বলে অভিযোগ। এখন পুলিশ তাকে জেরা করছে।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? পুলিশ সূত্রে খবর, অতনু বন্দ্যোপাধ্যায় নামে স্বাস্থ্যভবনের এক আধিকারিকের নজরে আসে বিষয়টি। তখন তিনি গোটা ঘটনাটি নিয়ে বিধাননগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, পশ্চিমবঙ্গে জন্ম এবং মৃত্যুর শংসাপত্র দেয় সিভিল রেজিস্ট্রেশন সিস্টেম পোর্টাল। যা পরিচালনা করে কেন্দ্রীয় সরকার। সে🐻খানে সম্প্রতি স্বাস্থ্য দফতরের কাছে দু’টি জন্মের শংসাপত্র🍒 এসেছে। যেগুলি সিভিল রেজিস্ট্রেশন সিস্টেম পোর্টাল দেয়নি। তাছাড়া ওই নথিতে নানা গড়মিল রয়েছে। তখন তদন্তে নামে পুলিশ। আর গোটা বিষয়টি ধরে ফেলে। গ্রেফতার করা হয় ওই যুবককে।
তারপর ঠিক কী ঘটল? প্রথমে যে দুটি নথি স্বাস্থ্যভবন হাতে পায় তা পরীক্ষা করে বুঝতে পারে কেউ ভুয়ো ওয়েবসাইট তৈরি করে এসব কাজ করছে। ওই ভুয়ো সরকারি পোর্টালে নথিভুক্ত করতে একাধিক জেলার পৃথক পাসওয়ার্ড রয়েছে। পৃথক ইমেল আইডি পর্যন্ত রয়েছে। এমনকী ভুয়ো ওয়েবসাইট তৈরি করে একাধিক জেলার ইমেল আইডি এবং পাসওয়ার্ড বদল পর্যন্ত করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, সাব–র♊েজিস্ট্রারের দু’টি নতুন ইমেল আইডিও তৈরি করা হয়েছে। আর ভুয়ো আইডি দিয়েই ভুয়ো শংসাপত্র দেওয়া চলছে। বিনিময়ে টাকা কামিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ইডি জেরা শেষ ♑করে মন্দিরে কেন 💧নুসরত? ‘সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি’, দাবি অভিনেত্রীর
আর কী জানা যাচ্ছে? এই ঘটনা বুঝতে পেরেই বিধাননগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই স্বাস্থ্য ভবনের অফিসার। তদন্তে নেমে পুলিশ পৌঁছে যায় ওই প্রতারকের কাছে। তখন সে নানা অজুহাত খাঁড়া করার চেষ্টা করে। কিন্তু পুলিশ হাতে গরম প্রমাণ নিয়েই দীপু কুমার নামে ২০ বছরের এক যুবককে গ্রেফতার করে। এখন তাকে জেরা করা হচ্ছে। বিহারের গোপালগঞ্জের বাসিন্দা দীপু ভুয়ো ওয়েবসাইট খুলে ব্যবসা ফেঁদে বসেছিল। আজ, মঙ্গলবার তা🀅কে নিম্ন আদালতে হাজির করা হলে পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।