ধর্মের ভিত্তিতে নয়, একজোট হয়ে হিন্দু-মুসলিম ধর্ম্বালম্বীদের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের বার্তা দিলেন কলকাতার মেয়র ফিরদহাদ𓂃 হাকিম। পাশাপাশি, সংখ্যালঘুদের উদ্দেশ্যে তিনি বললেন, "আপনাদের জন্য ৭০ শতাংশ মানুষ বিজেপির পক্ষে চলে যাবেন। অমিত শাহর পক্ষে হয়ে যাবেন꧅। "
গত কয়েকদিন ধরেই আইনের বিরুদ্ধে রাজ্যের বিভিন্ন💙 প্রান্তে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। প্রথম থেকেই তা হিংসাত্মক চেহারা নেয়। চলন্ত ট্রেনে ছোড়া হয় পাথর। পুড়িয়ে দেওয়া হয় ট্রেন, বাস। সেই বিক্ষোভে আগাগোড়া সংখ্যালঘুরা ছিলেন। বিভিন্ন মহল থেকে শান্তি বজায় রাখার আর্জি জানানো হয়েছে। গণতান্ত্রিক উপায়ে আন্দোলনের আর্জি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ𒉰্যোপাধ্যায়ও। কিন্তু, তাতেও কাজ হয়নি। বরং বাড়ছে হিংসার মাত্রা। তাই এবার আসরে নামলেন ফিরহাদ।
গতকাল তিনি একটি ফেসবুক পোস্টে বলেন, "সংবিধানে বলা হয়েছে, আমরা একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশ। তাই আমরা হিন্দু বা মুসলিম হিসেবে লড়াই করতে পারব না। আমাদের জোটবদ্ধ হয়ে এই বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে।" পোস্টের পরে একটি ভিডিয়োও পোস্ট করেন ফিরহাদ। সেখানে সরাসরি সংখ্যালঘুদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, অরাজকতা করে বাংলায় বিজেপির হাত শক্ত করবেন না। পথ অবরোধ করে, বাস জ্বালিয়ে বাংলার মানুষের ক্ষতি হচ্ছে। এটা হিন্দু-মুসলমানের লড়াই ন꧅য়। এই লড়াই ভারতব꧂াসী হিসেবে আমাদের লড়তে হবে। সেটার জন্য শুধু একটা সম্প্রদায় অরাজকতা করলে সংখ্যাগুরুদের বিদ্বেষ হবে। তাতে লাভবান হবে বিজেপি।"
রাজ্যের পুর ও নগরোয়ন্নয়ন মন্ত্রীর অভিযোগ, ধর্মীয় ভিত্তিতে প্ররোচনা দিচ্ছেন কয়েকজন নেতা। আর ফায়দা তোলার জন্য তাতে টাকা ঢালছে বিজেপি। ফিরহাদ বলেন, "আপনারা বিজেপির টাকায় যেটা করছেন, এটা পরিকল্পনা করে হচ্ছে। এটা হুজুগে হচ্ছে। আপনারা অরাজকতা করে বিজেপির হাত শক্ত করছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার বলছেন, বাংলায় সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ও জাতীয় নাগরিকপঞ্জী চালু করতে দেবেন না। তাহলে বাংলার মানুষ হিসেবে কেন আমরা বাংলার মানুষের অসুবিধা করব ? কেন বাংলার মানুষের পথ অবরোধ করব ? ট্রেন অবরোধ করব ? সেই মানুষগুলো তো অমিত শাহ পক্ষে চলে যাবেন। ৭০ শতাংশ মানুষ বিজেপির পক্ষে হয়ে যাবেন। এখানে যখন বিজেপি আসবে, তখন উত্তরপ্রদেশের মতো মানুষকে মাথা নীচু করে থাকতে হবে। তখন আর রাস্তায় কেউ নামবে না। প্রতিবাদ করতে চাইলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়🔯ের ডাকা মিছিলে সামিল হন। এটায় বাংলার মানুষের ক্ষতি হচ্ছে। আর দিল্লির অমিত শাহ হাসছেন, তাঁদের সুবিধা করার জন্য।"