এবার সরাসরি অটো চালককে আগ্নেয়াস্ত্র ব🐻ের করে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল। আজ, মঙ্গলবার সকালে হঠাৎই এমন ঘটনা ঘটে যায় খাস কলকাতায়। এক অটো চালককে আগ্নেয়াস্ত্র বের করে মাথায় ঠেকিয়ে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ও🧜ই দুই যুবকের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র কেমন করে এল সেটা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এই দুই যুবক দুষ্কৃতীমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত কিনা সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় আলোড়ন ছড়িয়ে পড়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, আজ মঙ্গলবার সকালে গড়িয়া অটো স্ট্যান্ডের কাছে এসে দাঁড়ায় দুই যুবক। তাদের সঙ্গে একটি দামি গাড়ি ছিল। তাতে চড়েই তারা অটো স্ট্যান্ডের সামনে এ🐬সে দাঁড়ায়। তারপর এক অটো চালককে নির্▨দিষ্ট একটি রুটে অটো নিয়ে যাওয়ার জন্য চাপ দেওয়া শুরু করে তারা। কিন্তু ওই অটো চালক সেটা মানতে রাজি হননি। সোনারপুর যাওয়ার জন্য চাপ দেওয়া শুরু হয়। অটো চালক ওই যুবকদের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় শুরু হয় গালিগালাজ। অটো চালককে হুমকি দিয়ে তারা বলেন, ‘জানিস আমি কে? বেশি বাড়বাড়ি করলে একেবারে নামিয়ে দেব’। অর্থাৎ ধর থেকে মুণ্ড আলাদা করে দেওয়া হবে।
এই ঘটনার সꦆাক্ষী বেশ কয়েকজন মানুষ। কিন্তু হাতে আগ্নেয়াস্ত্র থাকায় কেউ প্রতিবাদের সাহস দেখাননি। ওই দুই যুবক মদ্যপ অবস্থায় ছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। অটো চালকের সঙ্গে ওই দুই যুবকের বচসা চলতে থাকে। তখনই হঠাৎ এক যুবক পকেট থেকে আগ্নেয়াস্ত্র বের করে। বন্দুক উঁচিয়ে ওই অটো চালককে হুমকি দেয়। গ্রেফতার হওয়া দুই যুবক বলেন, ‘জানিস আমি কে? কথা না শুনলে একদম নামিয়ে দেব। যেখানে যেতে বলছি সেখানে চল।’
আরও পড়ুন: ‘বার্ধক্য ভাতার বিষয়টি আꦕমার মাথায় আছে’𒈔, জয়নগরের সভা থেকে বড় ঘোষণা মমতার
তারপর এই ঘটনা দেখে এক ব্যক্তি চুপিসারে স্থানীয় পাটুলি থানায় খবর দেন। এমন খবর পেয়ে পুলিশ প্রথমে আঁতকে ওঠে। তারপর পুলিশ এসে ওই দুই অভিযুক্ত 💎যুবককে গ্রেফতার করে। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযোগ পেয়ে পাটুলি থানার পেট্রলিং ভ্যান চলে আসে। আর ওই দুই যুবককে ঘিরে ফেলে। আগ্নেয়াস্ত্র সমেত ওই দুই যুবককে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার হওয়া দুই যুবকের নাম দীপায়ন দত্ত এবং চিরঞ্জিত কর্মকার। একজন যুবকের বাড়ি নারকেলডাঙা এলাকায়। আর দু’জনকে থানায় নিয়ে গিয়ে দফায় দফায় জেরা করা হচ্ছে। কী করে আগ্নেয়াস্ত্র এল? আগ্নেয়াস্ত্রের বৈধ লাইসেন্স আছে কি? এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর খতিয়ে দেখছে পুলিশ।